চলনবিলের আলো বিশেষ প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চলাচলের জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব অর্থে এগারোশত ফিট রাস্তা সংষ্কার করলেন পৌর মেয়র রাসেল। এর আগে ভাঙ্গুড়া বেইলী ব্রীজ পূর্বপাশের রাস্তাটি সংষ্কারে জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রকল্পর আবেদন করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু জনবাদীর প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও তিনি নিজস্ব অর্থে এই সংষ্কার কাজ শুরু করেন। ভাঙ্গুড়ায় তার ইটের ভাটা সহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সরেজমিন শুক্রবার পৌর সদরের বেইলী ব্রীজ পূর্বপাশ থেকে মহাদেবের বাড়ি পর্যন্ত এগারশত ফিট রাস্তা সংষ্কারের কাজ পুরা দমে এগিয়ে চলছে। বড়াল নদীর এপার ওপার অর্থাৎ ভাঙ্গুড়া বাজারের সাথে শরৎনগর বাজারের সাথে মালামাল পরিবহনের জন্য একমাত্র রাস্তা। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনের জন্য এই রাস্তাটি বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে শরৎনগর বাজার হতে ধান, পাট, সড়িষা ভাঙ্গুড়ার বাহিরে যেমন নেওয়া তেমনী ভাঙ্গুড়ার বাহির হতে শরৎনগর হাটে পশু , গো-খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য পরিবহন করে নিয়ে যেতে এই রাস্তাটির ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই যে দিক থেকেই হোক না কেন ভাঙ্গুড়া- শরৎনগরের জন্য এটি একটি জন গুরুত্ব পূর্ণ যোগাযোগ রাস্তা।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ ভাঙ্গুড়া বেইলী ব্রীজ পূর্বপার হতে মহাদেবের বাড়ি পর্যন্ত এই রাস্তার প্রকল্পটি একাধিকবার প্রেরণ করা হলেও দূর্ভাগ্যবশত তা পাশ হয় নি। কিন্তু পৌরবাসীর দাবী ছিল রাস্তাটি নির্মাণ করা হোক। তাই পৌর বাসীর সেই দাবীর প্রতি সম্মান রেখে মেয়র রাসেল নিজ¯^ অর্থেই রাস্তা সংষ্কারের কাজ শুরু করেন। এর আগে স্বল্প খরচে পৌরসভা রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী রাখলেও গত কয়েক দিনে ভারী বর্ষণে রাস্তাটির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় যা সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছিল। অবশ্য ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মধ্যে গত অর্থ বছরের মধ্যেই প্রায় ৮০ ভাগ প্রধান সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও পৌর সভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ , সড়ক বাতি , ডাস্টবিন স্থাপন ও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি প্রশংসা অর্জন করেছেন । নিজস্ব অর্থে এই সড়ক নির্মাণে পৌরবাসী মেয়র রাসেলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এব্যপারে শরৎনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমির হোসেন বলেন, শরৎনগর বাজারের ব্যবসায়ীদের মালামার পরিবহনে পৌর সদরের বেইলী ব্রীজ পূর্বপাশের রাস্তাটি সংষ্কার হওয়া জরুরী ছিল। মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল সে কাজটি বাস্তাবায়ন করলেন। আমরা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌর এলাকায় প্রায় ৮০ভাগ রাস্তা এরই মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পৌর এলাকায় বেইলী সেতুর পূর্বপাশের রাস্তাটির প্রকল্প পাশের জন্য পাঠানো হয়েছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা পাশ হয়নি । তাই জনগণের দাবীর কথা বিবেচনায় নিয়ে আপতত নিজস্ব অর্থেই রাস্তাটির সংষ্কার করলাম। পরে প্রকল্প আসলে তার সাথে সমন্বয় করা হবে।