শনিবার , ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পিতৃপরিচয়ের দাবিতে হন্যে হয়ে ঘুরছে শিশু ফাহিম

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৯ মে, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ফাহিম শাফায়েত। বয়স মাত্র সাড়ে নয় বছর। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা ডা: মো: শাফায়েত হাবিব ও মা ডা: ফারহানা ইয়াসমিন। প্রায় ১০ বছর আগে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিশু ফাহিমের মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন থেকেই ফাহিম তার মা ডা: ফারহানা ইয়াসমিনের কাছে আলাদা থাকছে। স্বামী-স্ত্রী আলাদা হওয়ার পর থেকেই শিশু ফাহিমের পিতৃ পরিচয় অস্বীকার করে আসছেন ডা: শাফায়েত। এ অবস্থায় শিশু ফাহিম বছরের পর বছর ধরে পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে হন্যে হয়ে ঘুরছে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে। ডা: ফারহানা ইয়াসমিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ফাহিমের বয়স যখন আড়াই মাস তখন আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন থেকেই ফাহিম আমার হেফাজতে থেকেই বেড়ে উঠছে।

ছেলেটি বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ছেলের পিতৃ পরিচয় স্বীকার করছেন না বাবা ডা: শাফায়েত হাবিব। ডা: ফারহানা বলেন, বাবা পিতৃপরিচয় অস্বীকার করায় ছেলেকে নিয়ে তিনি ধাপে ধাপে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্কুলে, কোচিংয়েসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ছেলে তার বাবার পরিচয় দিতে পারছে না। কোনো ধরণের সহযোগিতা করেন না বাবা। যদিও বিভিন্ন দেনদরবারের মাধ্যমে কিছুদিন আগে থেকে ছেলেকে নামমাত্র আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছেন। কিন্তু পিতৃপরিচয় অস্বীকার করছেন ছেলের বাবা। তিনি বলেন, আমি অন্য কিছু চাই না। শুধু মাত্র আমার ছেলের পিতৃ পরিচয় চাই।

একজন বাবা হিসেবে ছেলের প্রতি যে দায়িত্ব তা তিনি পালন করবেন। এজন্য আমি সাংবাদিক ভাইয়ের সহযোগিতা কামনা করছি। ডা: ফারহানা বলেন, এ ব্যাপারে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু তারপরেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। জানতে চাইলে ডা: মো: শাফায়েত হাবিব বলেন, এ ব্যাপারে আমি সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলার প্রয়োজন মনে করি না। তবে তিনি বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি মাসে ফাহিম শাফায়েতের খরচ বাবদ সাত হাজার টাকা করে প্রদান করি।

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বলেন, উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। শিশুটির দাদা আইনজীবী নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত শিশুটি তার মায়ের কাছে থাকবে। পরবর্তীতে শিশুটিকে তারা নিয়ে যাবে। তবে ওসি বলেন, শিশুটির মা পিতৃপরিচয় ও বাবা হিসেবে অন্যসব দায়িত্ব পালনের দাবি জানালেও তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। ফলে বিষয়টি অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।