শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

চলনবিলে সরিষা থেকে ৩৫ কোটি টাকা মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২

চলনবিলঞ্চে সরিষা ক্ষেত এখন মধু উৎপাদনের অন্যতম উৎসে পরিনত হয়েছে। এই উৎস কাজে লাগিয়ে এবার প্রায় ২ হাজার মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, সলঙ্গা ও উল্লাপাড়া ৮টি উপজেলা নিয়ে চলনবিলের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই শীত মৌসুমে মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ। এসব সরিষা খেতের পাশেই মৌচাষের বাক্স বসিয়েছেন ভ্রাম্যমান মৌচাষিরা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মৌচাষিরা এভাবে মধু সংগ্রহ করছেন।
চলনবিল এলাকায় এবছর প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর সরিষা আবাদ হয়েছে। সরিষার জমি থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করলে ফুলে সঠিকভাবে পরাগায়ন ঘটে, ফলে সরিষার ফলন ২৫-৩০ ভাগ বেড়ে যায়। মধু চাষের মাধ্যমে সরিষার ফলনও ভালো হয় বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, সরিষার ফুল থেকে প্রতি বছর মধু সংগ্রহ করে লাভবান হন ভ্রাম্যমান মৌচাষিরা। এবারও তারা এসেছেন চলনবিলঞ্চে। মৌচাষিরা এখন মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে অস্থায়ী মধুর খামার গড়ে তুলেছেন। প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যে ১ হাজার মৌচাষি (খামারী) এখন বাক্স নিয়ে চলনবিলের বিভিন্ন মাঠে অবস্থান করছেন। গোটা চলনবিলে ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর এলাকা থেকে আসা খামারি নুর হোসেন জানান, এবছর তিনি ২২০ টি মৌ বাক্স বসিয়েছেন। যা থেকে প্রায় ১শ’ ৫০মন মধু উৎপাদনের আশা করছেন। সাতক্ষীরা থেকে আসা মৌ চাষী বেল্লাল হোসেন বলেন, তিনিও ১শত’ ৬০টি বাক্স বসিয়েছেন। আশা করছেন আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার অনেক বেশি মধু পাওয়া যাবে। তাদের সংগৃহীত এসব খাঁটি মধু ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা পাপিয়া মৌমাছি খামারের স্বতাধিকারী তারক কুমার মন্ডল বলেন, স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ মধু কিনে নিয়ে যান। চলনবিল অঞ্চলের সরিষা ফুলের খাঁটি মধু এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানি এই মধু কিনে বিদেশে বিক্রি করছেন। প্রবাসীরাও বিদেশে যাওয়ার সময় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দিন দিন সরিষা ফুলের মধু বিদেশেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ মৌচাষি সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মৌচাষিরা এবারও চলনবিল থেকে কোটি কোটি টাকার মধু সংগ্রহ করবেন। চলনবিলের খাঁটি মধু সংগ্রহের জন্য প্রাণ,স্কয়ার, এপিসহ বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই মধু ক্রয় শুরু করেছেন। এ বছর প্রায় ২ হাজার মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হবে। যার বাজার মুল্য হবে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা। এ বছর প্রতি কেজি মধু খুরচা ৩০০ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা ও পাইকারি ১৫০ থেকে ২শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশন মৌ চাষে খামারীদের সহজ শর্তে ও শল্প সুদে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছেন।

 

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ