সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে বৈন্যা গ্রামে গণহত্যার গণকবরকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নামকরণ এর দাবি এলাকা বাসির।
১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর আক্রমণের খবর পেয়ে এলাকার প্রায় ৪০ জন নিরহ মানুষ উপজেলার বৈন্যা গ্রামে জনৈক দুলাল সরকারের ফাকা বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় রাজাকারদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাক বাহিনী বাড়িটি গিরে ফেলে এবং নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বচারে গুলি বর্ষন করে ইতিহাসের এক জঘন্য গণহত্যার নজির সৃষ্টি করে। বর্বরচিত এ গণহত্যায় ১৪ জন শহীদের নাম জানা গেছে। নিহতদের বৈন্যা গ্রামে পশ্চিম পারায় সমাহিত করা হয়। শহীদের মধ্যে অনেকই এ গ্রামের সন্তান, তার মধ্যে খাষপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এর বড় ভাই হারুন অর রশিদ ও ভগ্নিপতি শাহজাহান। দেশের জন্য আত্মদান কারি শহীদের মধ্যে অনেকই এ গ্রামের সন্তান। দীর্ঘ ৫৩ বছর পার হলেও গণহত্যায় শহীদ পরিবার হিসেবে আজও স্বকৃীত পায়নি। মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব সরকার বিঙান ও প্রযুক্তির যুগে ২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চৌহালীতে গণহত্যার গণকবরে শায়িত সকল শহীদ পরিবার স্বকৃীতি চায়। গ্রাম বাংলার উন্নয়নে খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন সদর ও উপজেলা সদর হিসেবে কোদালিয়া বাজারস্থ বৈন্যা গণকবরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপন ২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অংশ। দাবি পুরণে মুক্তিযোদ্ধা, গণহত্যায় শহীদ পরিবার, সোনার বাংলা ও বাংলার রুপকার মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছে উপজেলার মানুষ। খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নে বৈন্যা গণকবরকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নাম করণ বাস্তবায়ন করণ দেখতে চান। জনগনের দাবি পুরণে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর সুপারিশ দিন মুজুর, কৃষক কৃষানী, চালক, ছাত্র শিক্ষক, অভিভাবক, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারি ও মৎস্য জীবিদের।