রবিবার , ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গছে নদী কাঁদছে মানুষ, যেখানে স্বপ্ন দেখতে মানা 

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল  বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া  ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন তান্ধবনীলায় কাঁদছে মানুষ।
যমুনার পারবাসি মানুষের ভাঙ্গন তান্ধবনীলা রোধে স্থায়ীবাধ নির্মাণে ভাঙ্গন কবলিত অসহায় মানুষের স্বপ্ন দেখতে মানা। যমুনার পূর্ব অঞ্চল রক্ষায় মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের আশায় পারছারছেনা কুলবাসিরা। দেখতে দেখতে ভাঙ্গনদৃশ্য এক যুগ পেরিয়ে গেলেও দেওয়া হয়নি জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও স্থায়ীবাধ।
 চৌহালীর দক্ষিণ অঞ্চল ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধের প্রতিশ্রুতির আর আশ্বস্ববানি এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো আলোর মুখ দেখছে না ম্যাগা প্রকল্প ও স্থায়ীবাধ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন২০৪১ উন্নত বাংলাদেশ  বাস্তবায়নের অংশ চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই স্থায়ীবাধ । সেই আশার আলো দেখতে দেখতে বাব- দাদার ভিটে মাটি সহ সর্বত্র হারিয়ে আজ যা-যা-ব- র হয়ে অন্যের বাড়ির উঠানে, কারো বাড়ির ঘর দখল করে,  কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা রাস্তার ওপর ছাপড়া ও ঘর তুলে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে চৌহালীর ভাঙ্গা-গড়া মানুষ। এমতাবস্থায় স্কুল কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে মেয়ের পড়াশোনা বিগ্ন ও বৃদ্ধা পিতা মাতার সেবা নিয়ে আজ বড় ক্লান্ত নদী পারের জনগন।
যমুনার তান্দবনীলায় হারিয়ে যাওয়া দুই ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি হাট-বাজার, কয়েকটি কবরস্থান, কাচা-পাকা সড়কপথ, শত শত বসতি,আবাদি জমি, প্রকৃতিক জীবকুল হারিয়ে নিশ্ব প্রযুক্তি যুগের মানুষ। চৌহালীর উত্তর অঞ্চল এর ন্যায় দক্ষিণ অঞ্চলে একটি  টেকসই বেরীবাধ ও স্থায়ীবাধ না দেওয়ায়  আজ বড় ক্লান্ত অসহায় সম্বলহীন মানুষ।
 বসতি ও শিক্ষা অঙন নদীর পেটে খোলা আকাশে পাঠদান, নেই কোন পরিবেশ শিক্ষার্থীদের কষ্ট আকাশ সমান, এতে উৎকন্ঠা আর উদ্বিগ্ন শিক্ষক  অভিভাবক  ব্যাবসায়ী ও কৃষক। ভাঙ্গন হুমকিতে পরেছে দেওয়ানগঞ্জ বাজার, মিটুয়ানি হাইস্কুল,মিটুয়ানি  প্রাইমারি, বিনানই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুম্ভদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদঃ, সুম্ভদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা,  বাজার, কারিগরি  কলেজ, খেলার মাঠ, হাসপাতাল,  চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, পয়লা বহু মুখি উচ্চ বিদালয়, পয়লা দাখিল মাদরাসা, শত বছরের চরসলিমাবাদ কবরস্থান, ভুতের মোর, অর্ধশত বসতি,রাস্তা ঘাট ফসলি জমিসহ ২০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন কবলিত মানুষের  উন্নয়ন ধারার আলোকে টেকসই বেরীবাধ, চায়না বা স্থায়ী বাধ নির্মাণে স্বপ্ন দেখতে গিয়ে সম্বলহীন। ভাঙ্গছে নদী কাঁদছ মানুষ, সরকারের প্রতিনিধিদের আশ্বাসে পারঘেষা বিদ্যালয় সরিয়ে নেইনি। ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে স্থায়ীবাধের আশায়। তারা সাহায্য চাই না – ত্রাণ চাই না বেরীবাধ ও স্থায়ী বাধ  চায়।  মানুষের কান্না কেউ শোনেনা তাই প্রশাসন আর নেতাদের আশ্বাস বানি শুনতে চায়না এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা পড়তে চাই, স্কুল ও বসতি বাচাতে শুকনো মৌসমে ভাঙন রোধের বড় প্রয়োজন। একটি বাঁধই বদলে দিতে পারে চৌহালী ও নাগরপুর বাসির ভাগ্য।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।