মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
চাটমোহরে মানব সেবা অভিযানে গাছ বিতরণ ও অনুদান প্রদান রাণীনগরে সালিশে হাজির না হওয়ায় বাড়িতে হামলা: ভাঙচুর তালাবদ্ধ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও রিজু তামান্না ভূমিসেবা পেতে সরকারি খরচ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্হা, হুশিয়ারি জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাতক্ষীরা টিটিসিতে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত রাণীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধ*র্ষ*ণ*চেষ্টা: অভিযুক্ত অধরা পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত অভয়নগরে ভয়াবহ মাদকের ছড়াছড়ি, বাড়ছে চুরি ছিনতাইসহ নানামুখী অপরাধ

ভাঙ্গুড়ায় একই সাথে মা-ছেলের এসএসসি পাশ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ৬:১১ অপরাহ্ণ

ছেলের সাথে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল করেছেন মা। এমন ফলাফলে আনন্দের জোয়ার এখন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে। চলতি বছর রাজশাহী বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় সুলতানপুর গ্রামের মো: আব্দুর রহিমের ছেলে মো: মেহেদী হাসান ও স্ত্রী মোছা: মুন্জুয়ারা খাতুন। পরীক্ষায় মা পেয়েছেন ৪.৮৯ আর ছেলে ফেয়েছে ৪.৯৩। একসঙ্গে পাশ করায় বাঁধভাঙা উচ্ছাসে মেতে উঠেন তারা। ভালো ফল করায় তাদের বাহবা দেন সহপাঠী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

জানা যায়, এক পুত্র ও এক কন্যার জননী মুন্জুয়ারা খাতুন তার সন্তানদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে আবারও পড়াশোনার প্রতি টান অনুভব করেন। তাই ২০২০ খানমরিচ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। মায়ের আবার পড়াশোনা শুরু করার ইচ্ছার কথা শুনে এগিয়ে আসেন মেহেদীর বাবা আব্দুর রহিম। পড়াশোনার জন্য বই দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ছেলে আর অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বাবা। এ বছর ছেলের সাথে পরীক্ষা দিয়ে এমন ফলাফল অর্জনের বিষয়টি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না মুন্জুয়ারা।

মুন্জুয়ারা বলেন, এই ফলাফলের নেপথ্যে কাজ করেছে আমার স্বামীর অনুপ্রেরণা ও আমার ইচ্ছাশক্তি। অনেক কষ্ট করে ছেলে বড় করার পর নিজেরও মনে হয়েছে একটু পড়াশোনা করতে পারলে ভালো হতো। কিন্ত দুই সন্তানের পর নিজের পড়ালেখার খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার ছিলো না। তবুও অনেক কষ্টেই পড়াশোনা চালিয়েছি। আজ থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহনের আকাক্সখা আরো বেড়ে গেলো। সুযোগ পেলে আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই।

ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, আমার মা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। তার সঙ্গে তার মা ও পাশ করায় খুবই আনন্দিত সে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর