লামায় দূর্বৃত্তের আগুনে তামাক পুড়ানো ঘর (তামাকচুল্লী) পুড়ানোর অভিযোগ করলেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮ টায় গজালিয়া জীব স্টেশনের পাশে মোঃ জসিম উদ্দিন এর তামাকচুল্লীতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ণিত স্থানে গত কয়েক বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন। সেখানে বিলের একসাথে ৩টি তামাক পুড়ানো ঘর ছিল। এ সময় সেখানে কোন লোক না থাকায় সকালে কোন এক সময়ে কে বা কারা ঘরের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দিলে মধ্যখানের একটি তামাকচুল্লীর উপকরণসহ উপরের টিনসহ পাইপ,স্টিক,খালি বস্তাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পুড়ে যায়। এতে করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষক।
এদিকে লামা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে মাতামুহুরি নদীর হতে মেশিনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এখানে দেখা যায়, তামাকচুল্লীতে কোন বিদ্যুতিক সংযোগ নেই?
২.এখন তামাকের সিশনও নয়?
৩. আশেপাশে কোন বাড়িঘর নাই;তাহলে এগুন কেন আসল ?
কৃষকের শ্রমিক মোঃ ইব্রাহিম জানান,সকালে আমরা বাড়ি থেকে দুরে বিলের মধ্যে কাজ করতে এলে একপর্যায়ে তামাকের ঘরে ধোঁয়া দেখতে পাই, এসে দেখি আগুন জ্বলছে।
এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, বর্ণিত জায়গা- জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। আমাকে সেখানে থেকে উচ্ছেদ করা করার জন্য কে বা কারা আমার টুন্ডোলে আগুন দিয়েছে। এতে করে আগুনে আমি অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছি।
লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকতা মোঃ সাফায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।