শুক্রবার , ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৭শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বিলুপ্তির পথে কাঁকড়া শামুক, ঝিনুক

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২
সক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের আমিষের চাহিদা মেটানো কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফলে এই সব জনগোষ্ঠী আমিষের অভাবে পুষ্টিহীনতায় পড়ছে।
বর্তমান সময়ে খাল, বিল, ডোবা, নালা ও পুকুরসহ নানা রকম প্রতিকূল পরিবেশের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে জীববৈচিত্র। কিছু অসাধু চক্র নির্বিচারে প্রকৃতি ধ্বংসে মেতে উঠেছে। সরকারী খাল, বিল, ডোবা নালা গুলো প্রভাবশালীদের দখল চলে যাচ্ছে। প্রভাবশালীরা এ গুলো দখল করে ভরাট করে দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ পুকুর খনন করে বাণিজিকভাবে মাছ চাষ করছে। এতে করে কাঁকড়া, শামুক ও ঝিনুকের আশ্রায়স্থল হারিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও জমিতে কিটনাশক ব্যবহারের ফলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের খাদ্য কাঁকড়া, শামুক ও ঝিনুক প্রায় বিলুপ্তির পথে।
জানা গেছে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাতো কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও বিভিন্ন পোকামাকড় খেয়ে। এটি তাদের জনপ্রিয় খাবার হিসেবে প্রায় প্রতিদিনই খেত। আদিকাল থেকেই বিভিন্ন খাল, বিল, ডোভা, নালা ও পুকুর থেকে এসব খাবার আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করত তারা। প্রকৃতি দিত তাদের খাদ্যের জোগান।
বর্তমানে নানা প্রতিকুলতার কারনে পানি উৎসের স্তর কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন আর পানি উৎসের সংকটের কারণে বিপন্ন হচ্ছে কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক, বিভিন্ন পোকামাকড় আর কয়েক প্রজাতির মাছ ও প্রাকৃতিক শাকসবজি।
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় বসবাসরত কয়েক জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা তাদের খাদ্যের জোগান করত খাল, বিল, ডোভা, নালা ও পুকুর থেকে। বর্তমানে কিছু অসাধু চক্র এ গুলো দখল করে নির্বিচারে প্রকৃতি ধ্বংসে মেতে উঠেছে। পানি থেকে পাওয়া যেত কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক, বিভিন্ন পোকামাকড় আর কয়েক প্রজাতির মাছ ও প্রাকৃতিক শাকসবজি। নির্বিচারে এসব ধ্বংসের কারণে তাদের নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাস বিলুপ্তির পথে। এতে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগন। তাদের দাবি অচিরেই তাদের খাদ্যের স্থল গুলো রক্ষা না করলে ভবিষ্যতে খাদ্য-সংকটের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে যাবে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্র কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড় বলেন, সরকারী নালা পুকুর গুলো সরকারী ভাবে লিজ দেওয়ায় কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক প্রায় বিলুপ্তির হয়ে যাচ্ছে। আমাদের (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) নিত্যদিনের খাদ্যের তালিকার মধ্যে রয়েছে কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক, বিভিন্ন পোকামাকড় আর শাকসবজি। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতি থেকে উৎসারিত এসব জিনিস (খাদ্য) হারিয়ে যাচ্ছে।এতে করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিত্যদিনের খাদ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে এসব খাদ্য। তাই আমাদের দাবি অচিরেই তাদের খাদ্যের স্থল গুলো রক্ষা করা হোক।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।