যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা এলাকার বটতলা নামক স্থানের। এক লম্পট বাবা কর্তৃক নিজ মেয়েকে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লম্পট পিতা হলেন, উপজেলার সোনাতলা গ্রামের কাদের শেখের ছেলে সুরত আলী শেখ(৩৬)।
সরেজমিনে এলাকাবাসীসহ পরিবার সূত্রে জানা যায়, লম্পট সুরত আলীর তিন কন্যা সন্তান রয়েছে, তাদের মা সংসারে অভাব অনটন থাকায় কাজের সন্ধানে ভারত চলে যায়, ভারতে থাকাকালীন লম্পট সুরত আলীর সাথে সম্পর্ক বিনষ্ট হয়। যে কারনে ওই কন্যা শিশুদের মা দেশে এসে ছুরোত আলী কে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। সেই থেকে মেয়ে তিনটি পিতা সুরত আলীর আশ্রয়ে বড় হতে থাকে। বড় মেয়ের বয়স ১৬ বছর হলে ওই নরপশু পিতার কুদৃষ্টি পড়ে তার উপর, যে কারনে দীর্ঘদিন মেয়েটিকে নিজ পিতা যৌন নিপীড়ন করতে থাকে। লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু জানাতে পারেনা। লম্পট সুরত আলীর যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মেয়েটি অন্তসত্তা হয়ে পড়লে পরিবারের অন্য সদস্যরা টের পেয়ে গোপনে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের যোগসাজশে মেয়েটির পেটের বাচ্চাকে খুলনা একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাতের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। সূত্রে আরো জানা গেছে, মেয়েটি ৫ মাসের অন্তসত্তা ছিল। বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পরিবারের সকল সদস্যসহ স্থানীয় দু’একজন কতিপয় ব্যক্তি জড়িত হয়ে পড়ে। এবিষয়ে সোনাতলা গ্রামে একাধিক বার স্থানীয়রা সালিশ বিচারে বসে, অবশেষে বিচারে পরিবারের সদস্যরা স্বীকার করে যে ঘটনা সব সত্য। এব্যাপারে মেয়েটির বড়ো চাচি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, এই অপরাধের ঘটনা মেনে নিতে পারিনা, তার পরেও পরিবারের কথা ভেবে মুখ বন্ধ রেখেছিলাম, এই অপরাধের সাথে সহযোগী হিসেবে আমাদের পরিবারের সবাই জড়িত। ঐ লম্পট সুরত মিয়া, অপকর্মের কথা সব খুলে বলেন মেয়েটির বড়ো চাচি। নরপশু লম্পট সুরত মিয়া নিজ মেয়ের সাথে অপকর্মের ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে ফাঁস হওয়ার পরে সে ভুক্তভোগী মেয়েটিসহ তিন মেয়েকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এবিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আল-আমীন নামে একজন বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য এলাকাবাসীর সব শ্রেণীর মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারা পুলিশ প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রেখে জানান, যে কোনও উপায়ে মেয়েটির লম্পট পিতা সুরতসহ ঘটনার সাথে জড়িত পরিবারের সকলকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এবিষয়ে আমতলা পুলিশ ক্যাম্প ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এএসআই সামিম(০১৯১২৫৯১৬৩২) নং মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি তিনি বলেন, পিতা-মেয়ে উভয়ই পলাতক থাকায়, তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি, আমি বিষয়টি ওসি স্যারকে জানিয়েছি।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।