মঙ্গলবার , ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাবনায় সিত্রাং ঝড়ে চর অঞ্চলের কলা চাষিদের ব্যপক ক্ষতি

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২

সম্প্রতি বঙ্গপসাগড়ে হয়ে যাওয়া সিত্রাং ঝড়ের প্রভাবে পাবনা সদরের বিভিন্ন চরঅঞ্চলের কলা চাষিদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক এই ঝড় বাতাসের তান্ডবে চরের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কলার বাগান তসনস হয়েগেছে। ধরন্ত কলাগাছ গুলো উপরে ভেঙ্গে পরে আছে কৃষকরে ক্ষেতেই। দীর্ঘ মেয়াদি এক ফসলের এই কৃষি ফলন নষ্ট হওয়াতে এই অঞ্চলের কৃষকদের মাথায় হাত পথে বসার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিভিন্ন সমিতি থেকে লোন আর ধারদেনা করে লাভের আশায় কলা চাষ করে ছিলেনতারা। কিন্তু সেই কলার বাগান ঝড়ের কবলে পরে নষ্ট হয়ে গেছে। নিজেদের জমানো আর কষ্টার্জির্ত অর্থ দিয়ে কলার বাগান করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই কলার বাগানে হানা দিয়েছে প্রাকৃতিক ঝড় বাতাস সিত্রাং। এখন জমি থেকে নষ্ট কলাগাছ অন্যত্র সরিয়ে পূণরায় জমি চাষাবাদ করবে সেই অর্থও তাদের কাছে নেই। তাই সরকার ও কৃষি বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছেন এই অঞ্চলের ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকরা। সরজমিনে সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী চরভবানীপুর এলাকায় গিয়ে চোখে পরে মাঠেরপর মাঠ ক্ষতিগ্রস্থ কলার বাগান। মাটিতে নেতিয়ে পরা কলার গাছ কেটে পরিস্কার করার চেষ্টা করছে কৃষকরা। এই ভবানীপুর মৌজায় চর ভবানিপুর, খাসচর ও গঙ্গাধরদিয় এই বিশাল চর অঞ্চলের যেদিকে চোখ যাবে শুধু কলার বাগান। এই অঞ্চলের উৎপাদিত কলা স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কৃষকদের দেয়া তথ্য মতে প্রায় ২০কোটি টাকা সমপরিমান কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে তাদের। তবে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কোন কৃষি বিভাগেরে দায়িত্বশীল কাউকে চোখে পরেনি। ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, পাবনা কৃষি বিভাগকে লোকদের মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। তবে ঝড়ের পরে দুইদিন অতিবাহিত হলেও সরকারের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তারা এখনো সেখানে যায়নি। দূর্গম এই চর অঞ্চলের মানুষেরা অসহায়ের মত চেয়ে আছেন সহযোগিতার জন্য। নিজেদের শেষ সম্ভল জমানো অর্থদিয়ে তারা এই কলার বাগান করে এখন পথে বসার উপক্রম বলে জানান তরা। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইফুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছি সেটি মাঠপর্যায়েগিয়ে পরদির্শন করে তাদের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রদানের জন্য চেষ্টা করা হবে। বিগত দিনগুলিতেও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রণোদনা ও সহযোগিতা করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।