নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আ.লীগের সহ- সভাপতির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাইওয়ের পাটধারী এলাকা থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) হত্যাকারীরা রাতের কোনো এক সময় ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। বুধবার ভোর রাতে (১৯ অক্টোবর) এলাকার লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১ সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বর ও বামিহাল গ্রামের খোকা আকন্দের ছেলে মো. ফরিদুল ইসলাম আকন্দ(৫৫)। তিনি আরো বলেন, কোন কারণে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত না করে এখনই বলা সম্ভব না।
নিহতের এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাত চলে আসছিল। সেখানে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১২ জন নিহত হয়েছেন।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান ,সম্প্রতি দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার পর বামিহাল গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ফরিদুল ইসলাম। বামিহালে ডাবল মার্ডারের ঘটনার আসামিও ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে নিহতের মরদেহটি উদ্দার করেছে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার পুলিশ।