শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মণিরামপুর সংখ্যালঘু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:

মণিরামপুরে ষাটোর্ধ সংখ্যা লঘু বৃদ্ধা নারীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইসহাক শেখ (৫০) ওরুপে বাবু বাবুর্চি নামের এক নরপশু এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্ষণের শিকার দরিদ্র ওই নারী লোক-লজ্জায় ঘটনার ৬ দিনেও বিষয়টি কাউকে বলতে না পারলেও গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানার পর ধর্ষকের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ঋষি পল্লীর বাসিন্দারা। ভূক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, মণিরামপুরের পৌর এলাকার মহাদেবপুর গ্রামের সংখ্যালঘু ঋষি পল্লীর ৮ সন্তানের জননী বিধবা ষাটোর্ধ বয়সের এক বৃদ্ধা গত শনিবার দুপুরে প্রতিবেশি অপর এক নারীর সাথে পাশ্ববর্তী মাঠে শাক-সবজি তুলতে যায়। এসময় একই গ্রামের এসময় মাঠ সংলগ্ন বিল্লালের আম বাগানের পাহারাদার একই এলাকার মৃত গফুর শেখের পুত্র ইসহাক শেখ (৫০) ওরুপে বাবু বাবুর্চি তাকে বলে, কাকি কিছু আম নিয়ে যাও এবং তোমার সাথে কিছু কথা আছে বলে বাগানের ভিতরে প্রবেশ করতে বলে। বৃদ্ধা আম নিতে বাগানে প্রবেশ করলে ইসহাক জোরপূর্বক ষাটোর্ধ ওই বৃদ্ধার গলায় দাঁ ধরে ধর্ষণ করে।

 

ধর্ষণের পর বিষয়টি অন্য কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায় এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ধর্ষিতা বৃদ্ধা বাড়ী গিয়ে অসূস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা অসূস্থ্যতার কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি খুলে বলেন। মানসম্মানের ভয়ে পরিবারের সদস্যরা বিষয় চেপে গেলেও বৃদ্ধার অসূস্থ্যতা ও ওই সময় বৃদ্ধার সাথে থাকা অপর বৃদ্ধার মাধ্যমে ধর্ষনের বিষয়টি জানাজানি হয়। ইতোমধ্যে ধর্ষক ইসহাক শেখ বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা না করার জন্য ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মহাদেবপুর ঋষিপল্লীতে গেলে সেখানকার বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ওই বৃদ্ধা নারী। এসময় তিনি তার উপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

 

একই পল্লীর বাসিন্দা মান্দার দাস ও পরিমল দাস উপস্থিত নারীরা জানান, উক্ত ঘটনায় বিভিন্ন ভয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় মামলা করা হয়নি। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর গোপাল মল্লিক ক্ষোভের সাথে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় মিমাংসার অযোগ্য ঘটনা। ফলে আইনের মাধ্যমে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির কঠোর শাস্তির জন্য প্রশাসনকে সহযোগীতা করা হবে। জানতে চাইলে, মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, উক্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। করলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।