বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ! এসএসসি পরীক্ষার্থী নিয়ে মানবেতর জীবন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
কোনও প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই বাড়িঘর উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও লুটপাট করা হয়েছে পুকুরের মাছ ও ছাগল-মুরগি। বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদের ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবনযাবন করছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়ার ইউনিয়নের আরপি বাজারের কচুয়ারামপুরের জলিল প্রামাণিক।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উচ্ছেদকৃত ভিটের ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী পরিবার।

লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, ‘১৯৪৩ সালে জে.এল নং-৪ খতিয়ান, আর.এস নং-৩৫, আরএস দাগ নং-১১০২ এর ০.১৮ শতাংশ জমি কেনার পর উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা এই জমির ওপর বসবাস করে আসছি। প্রায় ৮০ বছর ধরে কেউ কোনও দিন এই জমি নিয়ে মামলা বা ঝামেলা করেনি। গত ২০ জুলাই উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে জানতে পারি- একই এলাকার এই জমির আরেক উত্তরাধিকার কায়েম উদ্দিনের ছেল গাজীউর রহমানের লোকজন একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেছে। পরবর্তীতে আমরা আইনজীবীর শরনাপন্ন হয়। তার আগেই দ্রুত ওই মামলার একপক্ষীয় ডিগ্রী পায় গাজীউরের লোকজন। এর বিরুদ্ধে আমরা গত ২৩ আগস্ট আপিল করি এবং গত ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।’

তারা বলেন, ‘আপিল শুনানির দুইদিন আগেই গত ১২ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে দুই গাড়ি পুলিশ, পাবনা কোর্টের লোকজন ও গাজীউর রহমানের ছেলে মাসুম, মো. মাসদুল, তাদের আত্মীয় তুফান ও আশরাফুলসহ শতাধিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে এসে আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এসময় তাদেরকে বাধা দিলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে আটকিয়ে রাখে। আমরা তাদের কাছে বাড়ি ভাংচুরের নোটিশ আছে কিনা জানতে চাইলেও তা দেখাতেও ব্যর্থ হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও পুলিশ ও ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের বের করে দেয়। ৩টি থাকার ঘর, গোয়ালঘর, রান্না ঘরসহ ৬টি ঘর গুরিয়ে দেয়। এসময় আমাদের আটকিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮-১০টা ছাগল ও বাড়িতে থাকা স্বর্ণলংকার ও নগদ ৩ লাখ টাকা ছিনে নিয়ে যায়। এমনটি আমার দুটি পুকুরের মাছও তারা লুট করে নিয়ে যায়।

ভূক্তভোগী মো. জলিল বলেন, ‘আমার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। আমার মাথা গোজার মতো ঠাঁই্ও নেই। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাবো? কোথায় কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার সম্পূর্ণ কাগজপত্র ঠিক আছে, শুধু একপক্ষীয় বাটোয়ারা ডিগ্রি নিয়ে এসে আপিল শুনানির আগেই নোটিশ ছাড়া কেন আমাকে এভাবে পথে বসাল তার বিচার চাই।’

অভিযুক্ত গাজীউর রহমানের ছেলে মো. মাসুম বলেন, ‘আমরা আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করেছি। আমার পুকুরের মাছ আমরা নিয়ে এসেছি, তাতে কি হয়েছে। আমরা কোনও ছাগল লুট করিনি, আমরা হাট থেকে ছাগল কিনে এনে জবাই করে খেয়েছি। যা করেছে সব কোর্ট করেছে, আপনারা কোর্টের কাছে যান।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাকসুদা আক্তার মাসু বলেন, ‘এখানে আমাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এটা কোর্ট থেকে করেছে এবং ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট এসেছিল। অবশ্যই নোটিশ দিয়ে করেছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। আর মাছ ও ছাগল লুটের বিষয়ে ব্যক্তিগত, তাদেরকে এবিষয়ে মামলা করতে হবে।’

এবিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন  বলেন, ‘এটা কোর্ট থেকে করেছে। পুলিশ শুধু সহযোগিতা করেছে। নোটিশের মাধ্যমেই উচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু মাছ ও ছাগল লুটের বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।