বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী আদরী

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
একদিকে স্বামীর সংসারের ঘানি অন্য দিকে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন প্রত্যন্ত গ্রামের এক নারী গৃহিনী আদরী খাতুন। স্বামী-সংসারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে হাঁস পালন শুরু করে আত্ননির্ভরশীল হয়ে উঠতে শুরু করেছেন তিনি। তার এই প্রচেষ্টা দেখে বাড়তি আয়ের আশায় এলাকার অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই হাঁস পালনে। আদরী খাতুন আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ঐ গ্রামের কৃষক ইয়াকুব  প্রামানিকের স্ত্রী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বামীর দেওয়া টাকা ও নিজের জমানো টাকা দিয়েই আদরী খাতুন খাটি ক্যামবেল জাতের ৬০০ টি হাঁসের বাচচা ৩ লাখ টাকা দিয়ে কিনে বাণিজ্যিক ভাবে হাঁস পালনের যাত্রা শুরু করেন। তিনি এর আগে বাড়ীতে ৬০০ হাঁসের বাচচা কিনে পালন করে ডিম বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে তার খামারে ৬০০টি ক্যামবেল জাতের হাঁস আছে।
এই হাঁস গুলো প্রতিনিয়ত ডিম দিতে শুরু করেছে। স্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তার স্বামী ইয়াকুব প্রামামনিক ও ছেলে জয় প্রামামনিক কাজে আর্থিক ভাবে সহায়তা করেছেন। মাঝে মধ্যে স্বামী ইয়াকুব প্রামানিক হাঁসের খামার দেখাশুনাও করেন।
আদরী খাতুনের স্বামী ইয়াকুব প্রামামনিক জানান, আমার স্ত্রী আদরী খাতুন খুবই মেধাবী একজন নারী। তার ইচ্ছা সে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া। আমার সংসারে অভাব নেই। আল্লাহের রহমতে জমিজমা সবই আছে। ভালই চলছি। তবে স্ত্রীর ইচ্ছা সে নিজে কিছু করবে। আমি তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছি এবং তাকে টাকাও দিয়েছি। সে সংসার দেখাশুনার পাশাপাশি হাঁস-মুরগীসহ পালনে কঠোর পরিশ্রম করছেন এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।
খামরী আদরী খাতুন জানান, আমার ইচ্ছা ছিল নিজের পায়ে দাঁড়াবো। প্রথম বছরে আমি ৬০০টি হাঁস দিয়েই খামারে যাত্রা শুরু করি। এবছরও আমি ৬০০টি হাঁসের বাচ্ছা দিয়ে খামার শুরু করেছি। আশা করি হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করেই ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হবে বলে মনে করছি। আয়ের টাকায় যেমন গরু-ছাগল,মৎস্য,পোল্ট্রি ও কবুতর পালন করার জন্য চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়েছি। এখন আমার আত্ননির্ভরশীল হতে হবে এবং আমাকে দেখি গ্রামের আট দশ জন মহিলা আত্ম কর্মসংস্থানরে সৃষ্টি করবে এটাই আমি চাচ্ছি। কোন ব্যাংক অথবা কোন সংস্থা থেকে বড় ধরণের ঋণ সহায়তা পেলে তাহলে প্রজেট বাড়ালে ১০-১৫ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটাই আমার চাওয়া।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।