শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ঢাকায়

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দেশে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইড লাইন মেনে করোনা প্রতিষেধক নির্বাচনের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নেতৃত্বে ঢাকার চার হাসপাতালে হবে এই ট্রায়াল। আইইডিসিআর থেকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহ অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন চিকিৎসক নিয়োগ এবং ট্রায়ালের জন্য করোনা আক্রান্তদের বাছাই করার কাজ চলছে। বৈশ্বিক মহামারীতে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। প্রতিদিনই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্ব একটি কার্যকর প্রতিষেধক পাওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছে।

 

কেউ বলছেন ভ্যাকসিন কেউ বলছেন মুখে খাওয়ার ওষুধেও বাঁচতে পারে জীবন। মানব সভ্যতার কাছে এখন একটিই প্রশ্ন বড় কবে মিলবে সেই প্রতিষেধক। বিশ্বের ভ্যাকসিন আবিষ্কারকরা বলছেন করোনা চিকিৎসায় ভ্যাকসিনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল হলে সাধারণ চিকিৎসাতেই করোনা ভাল হচ্ছে। সেই বিচারে কেউ কেউ বলছেন বিশ্বের প্রচলিত ওষুধেই করোনা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে ভ্যাকসিন না ওষুধ সেই বিতর্ক সারা বিশ্বে চলার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি কার্যকর ওষুধের বিষয়ে তারা ঘোষণা দিতে পারবে। পৃথিবীর ৪৪টি দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের ওপর এই ট্রায়াল চলছে। তবে বারবার মতামত পরিবর্তন করার ফলে ডব্লিউএইচও এর বিশ্বসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে সারা বিশ্বই করোনার প্রতিষেধকের জন্য এরপরও ডব্লিউএইচও এর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আইইডিসিআর সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালে ট্রায়াল শুরু হবে। সব প্রস্তুতি শেষ করে ট্রায়াল শুরু করতে আরও ১৫ দিন সময় প্রয়োজন হবে।

 

আর ট্রায়ালটি হবে মোট ৯০ দিনের। এই ট্রায়ালে ডব্লিউএইচও’ এর গাইড লাইন মেনে চলা হবে। ডব্লিউএইচও ট্রায়ালের জন্য ওষুধ পাঠাবে। এ বিষয়ে আইইডিসিআর এর সঙ্গে ডব্লিউএইচও এর সকল বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে। ট্রায়াল শুরুর আগে আইইডিসিআর সকল বিষয় সংবাদ সম্মেলন করে জানাবে। করোনা চিকিৎসায় নানা ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণত যাদের সংক্রমণ কম তাদের লক্ষণ দেখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এজন্য জ্বর হলে প্যারাসিটামল গ্রুপের যে কোন ওষুধ, এন্টিবায়োটিক হিসেবে এ্যাজিথ্রোমাইসিন বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৯৮০ সাল থেকে ব্যবহার হচ্ছে। তবে কোভিড-১৯ একটি ভাইরাস ফলে এ্যাজিথ্রোমাইসিন কার্যকর কি না তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এছাড়া পরজীবী ধ্বংসকারী আইভারমেকটিন এবং এন্টিবায়োটিক ডক্সাসাইক্লিন দিয়েও করোনার চিকিৎসা হচ্ছে। জাপানের ফুজি ফ্লিম এর তৈরি করা ফ্যাভিপিরাভির এ্যাভিগান করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক বলেও কোন কোন ট্রায়ালে দাবি করা হচ্ছে।

 

দেশের কয়েকটি ট্রায়ালেও ফ্যাভিপিরাভির এর কার্যকারিতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করছে ওষুধ প্রস্ততকারী কোম্পানিগুলো। ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। আর সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে রেমডিসিভির এবং ডেক্সামেথাসোন প্রয়োগের কথাও উঠে এসেছে কোন কোন গবেষণায়। এত ট্রায়াল আর এত ওষুধের মধ্যে একক কোন চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও স্বীকৃতি পায়নি। বলা হচ্ছে সকলের জন্য অনুসরণীয় একটি একক চিকিৎসা পদ্ধতি পাওয়া গেলেই নিশ্চিত হাওয়া সম্ভব হতো। এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ এএসএম আলমগীর বলেন, আমরা এবার অনেক আটঘাট বেঁধেই নামছি। দেশে যেসব ট্রায়াল হয়েছে সেগুলোতে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি বলেও মনে করেন তিনি। ডাঃ আলমগীর বলেন, আমরা চারটি হাসপাতালে শুরু করছি। এজন্য চিকিৎসক নিয়োগ করা হচ্ছে।

 

যারা করোনার চিকিৎসা করছেন তাদের মাধ্যমে ট্রায়াল দেয়া সম্ভব নয়। কি কি ওষুধ দিয়ে ট্রায়াল শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকগুলো ওষুধ রয়েছে। এখনও ডব্লিউএইচও আমাদের জানায়নি কি কি ওষুধ ব্যবহার করা হবে। আর এ ধরনের ট্রায়ালে দেশে প্রচলিত ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। ওষুধও পাঠাবে ডব্লিউএইচও। তিনি বলেন, সব কিছু মিলিয়ে আমাদের আরও ১৫ দিন সময় প্রয়োজন হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।