শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

যমুনা নদী ভাঙ্গনে নৌপথের যাত্রী ছাউনি ফাটল, বড় দূর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০

কামরান পারভেজ ইভান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

 টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড়ে যাত্রী ছাউনী একাংশ ফাটল ধরে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে হতাহতের মত দুর্ঘটনা।

উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে যমুনা নদী। এই নদী পথে পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলা ও নদীর ভিতরে শতাধিক চরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নৌকা দিয়ে গোবিন্দাসী ঘাট হয়ে বাজারে চলাচল করে। এই লক্ষাধিক মানুষের নৌকার অপেক্ষারত ও বিশ্রাম করার জন্য স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করে। যা সত্যিকার অর্থে নৌপথে চলাচল করা যাত্রীদের জন্য বেশ আরামদায়ক হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে বৃষ্টির সময় ও অতি রোদে গরমে যাত্রী ছাউনিটি সকল যাত্রীদের উপকার হয়।
যাত্রী ছাউনির একটি দেয়াল ব্যবহার করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ইবরাহীম খাঁ’র আলোকিত ভূঞাপুর গ্রুপ গরীব অসহায়দের জন্য একটি মানবতার দেয়াল স্থাপন করে। যেখানে যাত্রীরা অসহায় যাত্রীরা পছন্দমত কাপড় সংগ্রহ ও বিশ্রাম করতে পারে।

ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষ পড়ুয়া সজীব হোসাইন জানান, গতবছর এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তার পরীক্ষার যাওয়ার আগ মুহূর্তে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে দৌড়ে নৌকা থেকে নেমে যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নেন। যেটি না থাকলে সেদিন তার জামা-কাপড়সহ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ভিজে যেত।

হাসপাতাল থেকে ফেরত আসা প্রচন্ড রোদে নৌকার জন্য অপেক্ষারত জুঙ্গিপারা চরের সালেহা বেগম যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যেখানে এই যাত্রী ছাউনী না থাকলে তাকে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়তে হতো।

রাজাপুর চরের বাদাম চাষী জুলু চাকদার গোবিন্দাসী হাটে বিক্রির জন্য নৌকা দিয়ে ক্ষেতের বাদাম ঘাটে আনেন। হঠাৎ বৃষ্টিতে ও যানবাহন না পেয়ে বাদাম নিয়ে খুব ভোগান্তিতে পড়েন। পরে যাত্রী ছাউনিতে বাদামগুলো ঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পেরে তিনি তার ফসল হারানো থেকে রক্ষা পান।

বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দাসী সাপ্তাহিক দুইদিন হাট থাকার কারণে হাট চলাকালীন দিনগুলোতে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত থাকে এই যাত্রী ছাউনী ঘাট দিয়ে। যাত্রী ছাউনিটি যেমনটি মানুষের উপকারের জন্য স্থাপিত হয়েছিল তেমনি ভাবে নদীর পাড় ভাঙন ও যাত্রী ছাউনি রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলায় এখন সেটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। আর গভীর রাতে মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা হয়ে উঠে।

যাত্রী ছাউনির নদীর পাড়ের অংশ ভেঙে পড়ায় দিনদিন এটি নদীর দিকে হেলে যাচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন সেটি ফাটল ধরে একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু সাংবাদিককে বলেন, আজ ৮জুলাই (বুধবার) যাত্রী ছাউনির ফাটলের ব্যাপারটি আমাকে জানানো হলো। কাজের তারণায় আমি দূরে অবস্থান করছি। আগামীকালের মধ্যে আমি এটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।

উপজেলা প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। আমি প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সংস্কার ও মেরামতের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন পারভিন যাত্রী ছাউনী সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন, গোবিন্দাসী যাত্রী ছাউনির ফাটলের বিষয়টি ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। আমি এলজিইডি কে বিষয়টি দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছি।

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ