সোমবার , ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বরিশালে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০

রুবিনা আজাদ, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি:
জেলার হিজলা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পরেছে মুখে হিজলার উপজেলার ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে রয়েছে তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নয়টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী শফিউল আলম জানান, বদরটুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিএল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ন নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। নদী ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় বিদ্যালয় তিনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল গাফ্ফার জানান, উপজেলার নয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙ্গনের কারনে হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়াও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে হিজলা উপজেলা প্রশাসনিক ভবন, টেকের বাজারসহ বহু স্থাপনা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার চাঁদপুরে বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে পাহাড়ী ঢল আর জোয়ারের পানি। ফলে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও পূর্ণিমার জোয়ার, উজানের পানি হিজলার সীমান্তবর্তী চাঁদপুরে বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধিতে হিজলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে।

হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পন্ডিত শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্য পংকজ নাথের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী জহিরুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ভাংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, “নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। উপজেলা প্রশাসনিক ভবন, টেকের বাজার, বিভিন্ন স্কুল, বাউশিয়া, বাহেরচর গ্রাম কোনোটিই নিরাপদ নয়। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছি। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ এবং স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে।

পাল্টে যাচ্ছে মুলাদী উপজেলার মানচিত্র:
অপরদিকে জেলার মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী ও আড়িয়াল খা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের বসতভিটা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ ফসলি জমি।

নাজিরপুর, সাহেবের চর, কাচির চর, রামারপোল, নন্দীর বাজার, মুলাদী রাস্তরামাথা লঞ্চঘাট, বার্নিমদ্দন, বাটামারা, চরকালেখান, গাছুয়া ও সফিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের মূখে পাল্টে যাচ্ছে মুলাদী উপজেলার মানচিত্র। এরমধ্যে নাজিরপুর ইউনিয়নের এক কিলোমিটার এলাকা রাতের আধারে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাংগন কবলিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছর পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম এমপি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে নদী শাসনের আশ্বাস দিলেও নদী ভাংগনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হিজলা ও মুলাদী উপজেলার নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ