গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পার্ব্বতীপুর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া সরকারের ছেলে আলহাজ্ব খোরশেদুল ইসলাম (৪৫) এর সহিত পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে সাজানো সংসার ও ১ বছরের সন্তান ছেড়ে স্বামীকে তালাক দিলো এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। তিনি পলাশবাড়ী পৌর শহরের এম.এ সামাদ কারিগরি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সামাদ মিয়ার পুত্র আব্দুল্লা আল মামুন মিঠুনের স্ত্রী। তালাক দেওয়ার পর আবারো সে স্বামীর ঘরে ফিরতে চাইলে তাকে সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে পুনরায় গ্রহনে অস্বীকৃতি জানান স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন মিঠুন ৷ এরপর তার ডিভোর্স দেয়া স্বামীর পরিবারের নিকট উক্ত গৃহবধু লিমা গত ১৫ আগষ্ট ১ বছরের শিশু বাচ্চাকে ফেলে রেখে বাবার বাড়ীতে চলে যান ৷
পারিবারিকভাবে ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, উক্ত গৃহবধূ পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী প্রফেসরপাড়াস্থ স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করাকালে তারই চাচা শ্বশুর এসিড মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী হামিদের বাসায় পৌর শহরের ইলেকট্রিক সামগ্রী ব্যবসায়ি আলহাজ্ব খোরশেদুল ইসলাম হাজ্বী বাসা ভাড়া নিয়ে বৌ বাচ্চা সহ বসবাস করেন ৷ চাচা শ্বশুর হামিদের সাথে খোরশেদুল হাজ্বীর গভীর বন্ধুত্ব সৃষ্টি হলে হামিদের বৃদ্ধ মা’কে দেখ ভালো করার সুবাদে ভাতিজা বউ গৃহবধু লিমা’র সাথে খোরশেদুলের পরকীয়া সম্পর্ক শুরু হয়। বিগত কয়েকমাস যাবৎ কানা ঘুষা শোনা গেলেও গত ২৫ জুলাই দিবাগত রাতে হাজ্বী খোরশেদুলের সাথে ভাতিজা বউ লিমার অনৈতিক সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ৷ এ সময় কৌশলে মান সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে খোরশেদুলকে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সহযোগীতা করেন গৃহবধুর আপন চাচা শ্বশুর আব্দুল হামিদ ৷ এতেও থেমে থাকেননি খোরশেদুল হাজ্বী পুনরায় আক্রোশের বশবর্তী হয়ে প্রেমিকা গৃহবধুকে বুঝিয়ে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে স্বামী মিঠুনকে ডিভোর্স করান ৷ গত ১০ আগস্ট ডিভোর্সের নোটিশ হাতে পান স্বামী মিঠুন এরপর গত ১৫ আগস্ট পুনরায় ঐ গৃহবধূ তার প্রথম স্বামী আব্দুল্লা আল মামুন মিঠুনের বসতবাড়ীতে এসে আবারো সংসার করিবে এবং সংসার না হলে স্বামী ও শশুর, শাশুড়ী, ননদের ক্ষতি সাধন করার হুমকি দেন।
এরপর এঘটনায় পরকীয়ায় আসক্ত গৃহবধু ও অভিযুক্ত হাজ্বী খোরশেদুল ইসলামের নানা ষড়যন্ত্র, বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানোর কারণে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযুক্ত দুই নারী ও পুরুষের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী আব্দুল্লা আল মামুন মিঠুন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নারী পিতার বাড়ীতে থাকায় ও ব্যবসায়ী খোরশেদুলের সাথে যোগাযোগ করতে না পাওয়ায় মতামত সংগ্রহে তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন মিঠুন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিজের ও পরিবারের জান মালের নিরাপত্তার জোর দাবী জানান ।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান,অভিযোগের বিষয়টি এ মুহুর্তে জানা নেই তবে অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷