শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় সরকার

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২
চলমান আর্থিক সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। এর বহুমাত্রিক প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। দিনমজুর, শ্রমিক, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবহন খাতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। আমদানি পর্যায়েও অস্বস্তিকর সময় অতিক্রম করছে সরকার। এ জন্য প্রান্তিক ও শহরে বসবাসকারী সীমিত আয়ের মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে আরও এক কোটি মানুষকে আর্থিক সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গত ঈদুল ফিতরের সময় এক কোটি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল সরকার। এসব মানুষকে ফেয়ার প্রাইস কার্ড দেওয়ার কাজও চলছে। এর মাধ্যমে এ দুই কোটি মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরাসরি আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বুধবার বলেছিলেন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি সার্বিক অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে, অর্থ মন্ত্রণালয় এর মূল্যায়ন করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ মূল্যায়নের মাধ্যমে যে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত হবে, অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতায় ফেরাতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষকে কীভাবে আরও স্বস্তি দেওয়া যায়, সে বিষয়েও সুপারিশ থাকবে
এ অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে। এ কাজে সম্প্রতি যে জনশুমারি করা হয়েছে তার তথ্যও ব্যবহার করা হবে।
সূত্র জানায়, সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়িয়ে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষকে আর্থিক সুবিধা দিতে চায় সরকার। এ জন্য কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও এক কোটি মানুষকে এ প্রকল্পভুক্ত করা হবে। এর আগে কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয় সরকার। এর আগে মুজিববর্ষ ও ঈদুল ফিতরে অসহায়, দুস্থ ও অতিদরিদ্র এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। সে সময় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়।
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টিসহ মোট এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা দিতে উপজেলাগুলোর জন্য ৩৯৫ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভাগুলোর জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা মোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষকে বাঁচাতে এবার আরও এক কোটি মানুষকে একই রকম আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।