এম এস শবনম শাহীন ক্রাইম রিপোর্টার:
বুড়িগঙ্গা নদীতে যে লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিংবার্ড লঞ্চ ডুবে ৩৪ জন মারা গেছে, সেই ময়ূর-২ এর সুপারভাইজারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে মঙ্গলবার আদালতে নেওয়া হলে তাকে তিন দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন ঢাকার বিচারিক হাকিম মিশকাত শুকরানা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-পুলিশের এসআই শহীদুল আলম আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিলেন, তবে দুদিন কম পেয়েছেন। ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, “আব্দুস সালাম এজাহারভুক্ত আসামি নন।
তাকে এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “তিনি দীঘদিন ধরে সুপাভাইজার হিসাবে কাজ করছেন। তার সঙ্গে এজাহারনামীয় আসামিদের যোগাযোগ রয়েছে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসামিদের পালিয়ে থাকার এলাকা জানা যাবে।” এমএল মর্নিংবার্ড নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জ থেকে এসে সদরঘাটে ভেড়ার সময় শ্যামবাজারের কাছে চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। এতে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় ৩০ জুন ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনকে আসামি করে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম মামলা করেন।
এতে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধার নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়। প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় এখনও এজাহারভুক্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি।