বিদ্যুতের সংকট মোকাবিলায় সারা দেশের মতো পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চলছে লোডশেডিং। শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। এখানে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর শহরের চেয়ে গ্রামগুলোতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেক বেশি। আবার কখন কোথায় লোডশেডিং দেওয়া হবে, তাও জানতে পারছে না গ্রাহক। রোদ ও ভ্যাপসা গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের কোনো কোনো গ্রাহক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখছেন “আমাদের এলাকায় বিদ্যুত যায় না মাঝে মাঝে আসে”।
গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ শিডিউল তৈরি না করে ইচ্ছামতো লোডশেডিং করছে। ফলে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সময়মতো করতে না পেরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিডিউল অনুযায়ী এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। কখন বিদ্যুৎ আসবে আর কখন যাবে, সেটাও কেউ জানে না। দিন-রাত মিলে পাঁচ থেকে ছয়বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘণ্টার আগে আসে না।
এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ভাঙ্গুড়া সাব জোনাল অফিস) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৮ মেগাওয়াট, কিন্তু বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মেগাওয়াট। প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করার কথা থাকলেও অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ দিয়ে শিডিউল অনুযায়ী বিদ্যুৎ দেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়েই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
#CBALO / আপন ইসলাম