রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগরে স্কুল শিক্ষক হীরামণ মন্ডলের কান্ড : অভিভাবক মহলের ক্ষোভ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হীরামণ মন্ডল মজেছেন পারকীয়ায়। হীরামণ মন্ডল সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বিকাশ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। লোকমুখে শোনা যায় ঐ শিক্ষক প্রথমে রাজাপুর গ্রামের বিবাহিত কিন্তু স্বামী পরিত্যাক্তা একজন মহিলার প্রেমে মজেছিলেন। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার মণিরামপুর উপজেলার পাঁচকাটিয়া গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন। এরই মাঝে তিনি রাজাপুর স্কুলের একজন মহিলা অভিভাবকের প্রেমে মজে ওঠেন। চাকুরির সুবাদে স্বামী বাইরে থাকার সুযোগ গ্রহণ করেন শিক্ষক হীরামণ। বিষয়টি গ্রামের লোকের নজরে আসে এবং গ্রামে লোক কানা-ঘুষা শুরু করে। শিক্ষক হিরামণ ও মহিলা অভিভাবক সদস্যের মাঝে অবৈধ্য সম্পর্ক লোকের সামনে চলে আসে। রাজাপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি একই কথা বলেন। সেই সাথে তারা এই শিক্ষকের রাজাপুর স্কুলের সহকারী শিক্ষক থেকে চাকরির অপস্মরণ দাবি করেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র মল্লিক বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, তবে এই ঘটনা আমার প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারিতে ঘটেনি, প্রতিষ্ঠান চলাকালিনও ঘটেনি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সাথেও ঘটেনি। ঘটনাটি ওই শিক্ষকের ব্যক্তিগত ব্যপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। ঘটনা সম্পর্কে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মিন্টু কুমার রায় বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমি ঘটনা শুনেছি এবং পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষক হিরমণ মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি, তাদের দাবি শিক্ষক হীরামণ মন্ডল যেন স্কুলে না আসে, ওই শিক্ষক স্কুলে আসলে অভিভাবকরা আর তাদের ছেলে-মেয়েদের পাঠাবেনা। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আমি শিক্ষক হীরামণকে এখন স্কুলে আসতে নিষেধ করেছি। দ্রুত বিষয়টি নিয়ে আমার কমিটির সদস্য ও শিক্ষদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। তবে গ্রামে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হীরামণ মন্ডল বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে তবে যাই ঘটুকনা কেন আমি আমার সকল কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থী। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা এবং আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।