যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর ৫ নং ওয়ার্ডে আল হেলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন ধর্ম শিক্ষক আল হেলাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ বছর বয়সী ৫ম শ্রণীর শিশু ছাত্রী মিম আক্তারকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষের সাথে বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই নওয়াপাড়া পৌর ৫নং ওয়ার্ডের বুইকারা জগবাবুর মোড় এলাকার আলম মোল্লার ছেলে হাফিজুর মোল্লা(৩৫), এক সন্তানের জনকের সাথে প্ররোচনায় পড়ে নওয়াপাড়া পৌর ৫নং ওয়ার্ডের বুইকারা ড্রাইভারপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেন মা রিক্তা বেগমের মেয়ে মিম আক্তারের(১১) বিয়ে দিতে চাইলে ওই শিক্ষক রুহুল আমিন স্থানীয় সুলতান কাজীর সহকারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে বিয়ে দেই।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, ওই শিক্ষক এর আগেও এমন অপরাধ করেছে। স্থানীয় অনেকে বলেন, একজন স্কুল শিক্ষকের দ্বারা এমন অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর, তারা যদি এমন জঘন্য অপরাধ করে তাহলে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা ঐ শিক্ষকের শাস্তি চাই। এবিষয়ে অভয়নগর নওয়াপাড়া আল হেলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, আমি অনেক বার বলেছি, আমি এমন কাজ করবো না, দুই পক্ষের চাপে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আমার চরম ভুল হয়েছে, এমন ভুল আর হবেনা।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোরশেদ বলেন, এই বিয়ে পড়ানো বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে ঘটনা সত্যি হলে অনেক সময় রাজনৈতিক সামাজিক চাপে ঐ শিক্ষকের কিছু করার থাকেনা, যে কারনে এই ভুলগুলো হয়।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন,আমার কাছে এসম্পর্কে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।