বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় পুলিশের কাছে ন্যায় বিচার না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে জেসমিন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

পাবনার ভাঙ্গড়ায় গৃহবধু জেসমিন (২৫) কে রড দিয়ে পেটানোর ঘটনায় দায়েরকৃত এজহারকে জিডি হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালীয়া গ্রামে। গৃহবধু জেসমিন ঐ গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের মেয়ে। থানায় বিচার না পেয়ে এখন তিনি বিধবা মাকে নিয়ে বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের আশায়।

জেসমিন আক্তার জানান, বিধবা মায়ের কাছে বেড়াতে এসে গত ২২ জুলাই সকালে ঘরের ডোয়া পাকা করার কাজে মিস্ত্রীদের সহযোগিতা করছিলেন। এমন সময় প্রতিবেশি (১) জাহাঙ্গীর হোসেন, পিতা সাবেদ উল্লাহ, (২) সোহাগ, পিতা জাহাঙ্গীর, (৩) শিল্পী খাতুন, স্বামী জাহাঙ্গীর কাজে বাধা প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। আমি প্রতিবাদ করায় জাহাঙ্গীর হোসেন রড দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ছিলাফুলা জখম করে। সোহাগ তার হাতে থাকা কাঠের বাটাম দিয়ে আমাকে একের পর এক আঘাত করে। শিল্পী খাতুন আমার চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারী কিল-ঘুষি মারে। এসময় আমার চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এলে তারা ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করে চলে যায়। পরে আত্মীয় স্বজনেরা আমাকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে আমি ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু পুলিশ অভিযোগটা এজহার হিসাবে গ্রহন না করে সাধারণ ডায়রি হিসাবে রেকর্ড করেন। ফলে আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে আমাকে এখন প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।

জেসমিন আরো বলেন, অভিযোগের সাথে মেডিকেল সনদ প্রদান করা হয়েছে। তাতে আমার শরীররের বিভিন্ন স্থানের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনার দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। বরং আমার এজহারকে জিডি হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে যা আসামীদের সহযোগিতারই নামান্তর। এখন আমি কি করবো কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছিনা।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মু.ফয়সাল বিন আহসান জেসমিনকে মারপিটের ঘটনার সত্যতা স্বাকার করে বলেন, আঘাতের ঘটনায় ওই গৃহবধুর শরীরে ছিলাফুলা রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় থানায় সাধারণত জিডি করা হয়, এজহার নয়। জিডির তদন্ত চলছে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরোও বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য বাদি চাইলে কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারেন।

বিষয়টি নিয়ে পাবনা জর্জ কোর্টের সরকারি প্রসিকিউটারসহ কয়েকজন ফৌজদারী প্রাক্টিশনারের (সিনিয়র আইনজীবীর) সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, এই ধরণের অভিযোগ থানায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ উহা এজহার হিসাবে গ্রহন করবে। পুলিশ এরকম করলে ভিক্টিমের সাথে অন্যায় করা হয়েছে।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।