বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, অভিযুক্তের দাবী ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২
ছবি: অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান মিঠু।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান মিঠুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মাত্র সাত মাস আগে ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন পর্যায়ের হেভি ওয়েট আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে গত ডিসেম্বরে ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে তিনি উপজেলার সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন।

মিঠুর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ইউনিয়নবাসীর পক্ষে পাঁচজন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা প্রশাসন বরাবর বুধবার বিকালে জমা দিয়েছেন।

খানমরিচ ইউপির দাশমরিচ গ্রামের আরিফুর রহমান, বৃদ্ধমরিচ গ্রামের মো. ছাইদুর, বৈদ্যমরিচ গ্রামের মো. আবুল, মাদারবাড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও কালিয়ানজিরি গ্রামের সুলতান মাহমুদ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মানবিক সহায়তার ২ লক্ষ টাকা, ইজিজিপিপি প্রকল্পের কোনো কাজ না করে ৯৬ হাজার টাকা, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের ২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা, টিআর বরাদ্দের কোনো কাজ না করে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা, এলজিএসপি-৩ এর শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের ৩ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা, এডিপি প্রকল্পের মোটা অংকের টাকা ছাড়াও সরকারি নিয়মের বাইরে গ্রাম আদালত ফি, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

তবে অভিযোগে স্বাক্ষরকারী সাইদুর রহমান জানান, তিনি দুর্র্নীতি, অনিয়মের বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নুর-উন- নবী দুলাল মাস্টারসহ অনেকে মিটিং করে অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাদের কথায় স্বাক্ষর করেছি। অভিযোগে কী কী অনিয়ম আছে জানাতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেন নি। অভিযোগের অপর স্বাক্ষরকারী মো. আবুল অন্যান্য স্বাক্ষরকারীদের কাছে জানার কথা বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অভিযোগে অপর এক স্বাক্ষরকারী জাহাঙ্গীর মিটিংয়ের কথা অস্বিকার করে বলেন, কোনো মিটিং হয় নাই আমরা পাঁচজন মিলেই অভিযোগ দিয়েছি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,মুক্তিযুদ্ধের সময় পাবনা- সিরাজগঞ্জ জেলায় মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ অবদান কারী পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের মির্জার ভাগিনা হওয়ার কারণের মনোয়ার হোসেন খান মিঠু খানমরিচ এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সে কারণে গত ডিসেম্বরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক না পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নর-উন-নবী দুলাল মাস্টার কে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে ইউনিয়নের সর্বোকনিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তবে খানমরিচ ইউনিয়ন চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণে এবছর আগাম বন্যার চলে আসেন। অপর দিকে জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিধান থাকলেও প্রকল্পের পিআইসি দু একটি প্রকল্পের কাজ শেষ করার আগেই বন্যার পানি চলে আসে। সে কারণে বিল ফেরত না দিয়ে বন্যার পর কাজ করার স্বার্থে উত্তোলন করার অভিযোগ আছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান মিঠু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুলাল মাস্টার আমার সঙ্গে নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আমাকে হেয় করতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান জোট বেঁধে এসব অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। আর বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তাও সঠিক নয়। কিছু কাজ করা হয়েছে আর আমার ইউনিয়ন নিচু এলাকা হওয়ায় বন্যার পানির কারণে কিছু কাজ করা হয়নি; যা বন্যা পরবর্তী সময়ে করা হবে। আসলে আমি এলাকার নোংরা রাজনীতির শিকার হচ্ছি। তারা আমাকে নির্বাচনে জেতার পরে হুমকি দিয়েছিল ছয় মাসও চেয়ারম্যান থাকতে দেবে না এটা তারই চেষ্টা। আল্লাহ ও আমার ইউনিয়নের জনগণ আমার সঙ্গে আছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি আরও বলেন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কর্মসূচির কাজ সম্পন্ন করা হয়। আর কোনো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করে বিল ছাড় করা হয় না।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।