মঙ্গলবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সলঙ্গায় লেবুর কেজি ১৫ টাকা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২

এখন সব জায়গায় লেবুর বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। এক বস্তা লেবু বিক্রি করে ৫ কেজি চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান বিক্রেতারা। ভিটামিন -সি সমৃদ্ধ কাগজি লেবুর চাহিদা সারা বছরই। লেবুর এখন ভরা মৌমুম। সাধারনত লেবু বিক্রি হয় হালি বা পিস হিসেবে। কিন্তু বিশ্বাস না হলেও সত্য যে, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা হাটে দু’বছর ধরে লেবু বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে।

গতকাল সোমবার(২৫ জুলাই) দুপুরে সলঙ্গা হাটের কদমতলা তরকারি হাটায় হাঁক-ডাক দিয়ে কেজিতে লেবু বিক্রি করতে দেখা গেছে হযরত আলী ও তুফান,জুলমাত নামের বিক্রেতাদের।
কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন,লেবুর দাম বর্তমান খুবই কম। চাহিদা থাকলেও উৎপাদনও অনেক ভালো। স্থানীয়রা চাষীরা সহ নাটোর ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা হতে বস্তায় লেবু কিনে এনে খুচরা ভাবে কেজি দরে বিক্রি শুরু করেছেন বিক্রেতারা। লেবু কেজিতে বিক্রির পেছনে সলঙ্গা বাজার সিন্ডিকেটের তেমন হাত না থাকলেও স্থায়ী কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলেন,এভাবে কেজিদরে লেবু বিক্রি করলে আমাদের লেবুর ব্যবসা পথে বসে যাবে। লেবুর উৎপাদন বেশির কারণে হালির জায়গায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ক্রেতা সমাগম করতে বিক্রেতারা বলছেন,লেবুর কেজি ১৫ টাকা,১৫ টাকা,১৫ টাকা। বিক্রেতাদের এমন হাঁক-ডাক শুনে সাধারন হাটুরেরা অনেকেই ভীড় করেন এ সব লেবুর দোকানে। হালির তুলনায় কেজিতে লেবু বেশি হওয়ায় লেবু কিনতে তাদেরকে ঘিরে ধরেন ক্রেতারা।বিক্রেতা হযরত আলী আরও জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সোমবার সলঙ্গা হাটে কেজি দরে লেবু বিক্রি শুরু করেছি। প্রথম দিকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে আরও কমদরে ১৫ টাকায় বিক্রি করছি। তরকারি, সবজি বিক্রির পাশাপাশি বর্তমান লেবুর ব্যবসা লাভজনক ভেবে বস্তায় করে নাটোর হতে কিনে এনেছি।
আব্দুল হাকিম ও হাফিজ ও হোসেন নামের ক্রেতারা বলেন, হাঁকডাক দেখে আমরা ১৫ টাকায় এক কেজি লেবু কিনেছি । আমরা তো সারা বছর লেবু কিনতাম হালি হিসেবে। এক হালি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত এতদিন কিনেছি। কিন্তু আজকে কেজিতে লেবু বিক্রির জন্য হাঁক-ডাক শুনে মিস না করে ১ কেজি কিনলাম। কেজিতে প্রায় ১৫-১৭ টি করে লেবু পাওয়া যাচ্ছে। তবে লেবুর বাজার এখন পানির দরে হলেও সলঙ্গার কাঁচাবাজারের বেশীর ভাগ দোকানে এখনও হালি/ পিস করে বিক্রি হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।