রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন; আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
টাংগাইলের নাগরপুরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে শফিকুল ইসলাম (৪৫) হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ।
নাগরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, গত ১৯/৭/২২ তারিখ সকাল ৬.৩০ এর দিকে মানড়া নয়াপাড়া কালভার্টেরনিচে অজ্ঞাত নামা যুবকের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেলে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। থানা পুলিশ অনুসন্ধান করে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির পরিচয় বের করতে সমর্থ হয়। উক্ত লাশটি শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বলে সনাক্ত করা হয়।
মৃতের স্ত্রী মোছা রাহেলা বেগম বাদী হয়ে এ সংক্রান্তে এজাহার দায়ের করলে নাগরপুর থানার মামলা নং ৮
১৯/০৭/২০২২ ধারা : পেনাল কোড ৩০২/৩৪/২০১ রুজু হয়।এজাহারে বাদী জানায় যে, তার স্বামী মৃত শফিকুল ইসলাম টুকটাক কৃষি কাজ করা ও জমি দেখাশোনার কাজ করতো।
গত ১৮/৭/২২ সকাল ৯ টার পর ডিসিস্ট বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তার আর কোন খোজ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত ১৯/৭/২২ তারিখ সকাল ৬.৩০ এর দিকে মানড়া নয়া পাড়া কালভার্টের নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা তার
স্বামীকে হত্যা করে লাশ লুকানোর উদ্দেশ্যে কালভার্টের নিচে ফেলে গেছে মর্মে বাদী তার
এজাহারে উল্লেখ করে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান যে, তিনি উক্ত অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই মনোয়ার হোসেনকে নিয়োগ করে ছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ও ম্যানুয়াল ইনটেলিজেন্স কাজে লাগিয়ে তদন্তের মাধ্যমে নাগরপুর থানা পুলিশ এই মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এস. এম. মনসুর মূসা জানান যে, মৃত শফিকুল ইসলাম কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় মোরশেদা আক্তার নামক এক মহিলার সাথে জোর পূর্বক শারীরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। মোরশেদা
আক্তারের স্বামী প্রায় এক বছর যাবত বিদেশে থাকেন। গত ১৮/৫/২২ বিকেল ৫ টার দিকে শফিকুল আবারো মোরশেদার বাড়িতে যায়। উল্লেখ্য যে, ডিসিস্ট বিভিন্ন রোগে ভুগছিলো এবং অসুস্থ ছিলো। বাড়িতে তখন কেউ ছিলো না। শফিকুল মোরশেদার সাথে সেদিনও অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। মোরশেদা বাধা দিলে টিউবওয়েলের পাড়ে তাদের মাঝে ধস্তাধস্থি হয়। মোরশেদা এক পর্যায়ে শফিকুলের মুখকাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখে ও টিউবওয়েলের মেঝেতে আঘাত করে। ভিকটিমের মৃত্যু ঘটলে পাশের টয়লেটের মধ্যে লাশ লুকিয়ে রাখে। মোরশেদা বিষয়টি তার দেবর বারেক ও ভাসুর ফুলচানকে জানায়। তারা লাশ লুকানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে লাশ কেচ টের বস্তায় ভরে বারেকের অটোরিক্সাতে করে এনে উল্লিখিত কাল ভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে যায়।
 এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান যে, ১৯/৭/২২ তারিখে রাত ১১ টার দিকে এসআই মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নাগরপুর থানার একটি দল হত্যাকান্ডে জড়িত মোরশেদা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে।
 গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে নিজেকে জড়িয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মনোয়ার হোসেন  মুঠোফোনে জানান, হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্ট আলামত অটো গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে এবং অপর দুই আসামী  বারেক ও ফুলচানকে গ্রেফতার করে জবানবন্দির জন্য বৃহস্পতিবার(২১ জুলাই) টাংগাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।