কক্সবাজার সদর ভারুয়াখালী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারীদের হামলায় মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও গুরুতর আহত হয়েছে ১জন। ১৮ জুলাই সোমবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উল্লেখ্য ইউনিয়নের সাবেক পাড়া এই ঘটনা ঘটছে। আহত ব্যক্তি হচ্ছে রহিম সিকদার (৪৫)। সরজমিনে ঘটনা সূত্রপাতটি জানতে চাইলে, আহত রহিম সিকদারের ভাতিজা ওয়াহেদ জানাই, গেল ঈদুল আযহার কয়েকদিন পূর্বে সাবেক পাড়া থেকে এসে ভারুয়াখালী গরু বাজারে ইমাম শরিফের ছেলে মোর্শেদ (৩০) ও খুল্যা মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন প্রকাশ সালাইয়া (৩২) তারা দুজন ইয়াবা বিক্রয় করছিল। গরু বাজারের ইজারাদার হিসেবে রহিম তাদেরকে গরু বাজারে মাদকের কারবার না করার জন্য অনুরোধ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্রি করবে বললে মৌখিকভাবে তর্ক বিতর্ক হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮জুলাই ঘটনার দিন সকাল রহিম সিকদার সাবেক পাড়া শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত খাইতে গেলে উল্লেখ্য ইয়াবা কারবারীরা দেখতে পাই। তখন কিছু না বললেও আসার পথে ধরার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে থাকে, রহিম মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসার সময় পূর্ব থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উৎপাতে থাকা ঐ ইয়াবা কারবারি সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও এলোপাথাড়ি আঘাত করে। ঘটনা তথ্য আরও বিস্তারিত জানতে আহতের সাথে কথা বললে তিনি জানান, যখন তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেছে মোরশেদ বন্দুক ধরে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি মোটরসাইকেল না থামিয়ে চলে আসতে চাইলে সালাউদ্দিন রড নিয়ে হাতের মধ্যে আঘাত করলে গাড়ি-সহ পড়ে যায়। তখন মুরশেদ অন্য কারো হাত থেকে ধারালো ছুরি নিয়ে সরাসরি পেটের মধ্যে আঘাত করে এবং সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা এলোভাতারি রড, লাঠি নিয়ে আঘাত করে এবং মোটরসাইকেল ভেঙ্গে দেয়। হামলার সময় আহত ব্যক্তি চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তখন স্থানীয়রা ঘটনাস্থান থেকে আহত রহিম সিকদার কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। তার বক্তব্য মতে এলাকাবাসী এগিয়ে না আসলে তাকে জানে মেরে ফেলা হতো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা রত অবস্থায় রয়েছে। এখনো পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আহত ব্যক্তি একটু সুস্থ হয়ে উঠলে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাবেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, হামলাকারীরা চিহ্নিত অস্ত্র ধারী ইয়াবা ব্যবসায়ী। এলাকার মানুষ তাদের কাছে জিম্মি! তারা কাউকে পরোয়া না করে নির্ভয়ে সব সময় এলাকার যুব সমাজকে পাইকারি খুচরা ইয়াবা বিক্রয় করে যাচ্ছে। এসব ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা না নিলে তারা এলাকার যুব সমাজকে ইয়াবা আসক্ত করে ফেলবে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। এসব সন্ত্রাসীর আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।