কক্সবাজার রামু উপজেলার মিঠাছড়ি উমখালীর হাজির পাড়ায় শ্বাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার পর গর্ত করে মাটি চাপা দিল সে কালনাগিনী পুত্রবধূ। নিহতের নাম মমতাজ বেগম(৬০)। ১৭ জুলাই রবিবার সকালে নিহতের ছেলে বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে গেলে পাশে নতুন খোঁড়া মাটি দেখতে পায় এবং অল্প মাটি খোঁড়েই তার মায়ের শাড়ি দেখে স্থানীয়দের জানায়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রামু থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা অবস্থায় নিহত মমতাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে। তথ্যমতে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে শ্বাশুড়িকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত পুত্রবধু রাশেদা বেগম(২৫) এবং তাকে আটক করা হয়েছে।
সে খুনি রাশেদা স্বীকার করে যে, গত ১৬ জুলাই সকালে নিহত মমতাজ বেগমের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করল লাশ। আশপাশের কোন লোকজন না থাকার সুযোগে বাড়ির আঙ্গিনার টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে বস্তাবন্দি করে লাশ মাটিচাপা দেয়।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে থাকা রামু থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: মন্জু বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানান , নিহত মমতাজ বেগমকে কেঁটে ছয় টুকরো করা হয়েছে। দেহ থেকে মাথা, দুই হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন করা বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে। একা একটা মেয়ের পক্ষে একজন মানুষকে ছয় টুকরো করে মাটি চাপা দেওয়াও অসম্ভব বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
নিহতের ছেলে আলমগীর জানান, মাকে খুঁজে না পাওয়ার বেদনা নিয়ে সকালে টিউবওয়েলে গেলে পাশে নতুন মাটি দেখতে পাই। নতুন মাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় অল্প একটু খুঁড়ে দেখি আমার মায়ের শাড়ি। শাড়ি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দিলে তারাও পুলিশে খবর দেয়। পারিবারিক ঝগড়া ছিলো তাই বলে আমার মাকে হত্যা করার মতো কিছু দেখছি না।
এদিকে ঘটনাস্থলে আসেন রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, হত্যাকারী রাশেদা নিহত মমতাজ বেগমকে হত্যা করে বাড়ির সামনে টিউবওয়েলের পাশে নরম মাটি দেখেই পুঁতে ফেলে। হত্যাকারীকে ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে ও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদও চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।