বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় মাংস কাটতে খাটিয়ার কদর বেশি

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
গাছের গোড়ার দিকের কাঠ। প্রত্যেকটা গোলাকার। চারপাশটায় গাছের তাজা ছালবাকল। নিচটা সমতল। মাংস কাটার কাজে ব্যবহার করা হয় এ কাঠ। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে খাটিয়া( খাটি)। এই খাটিয়া সারা বছর ব্যবহার করেন কসাইরা।
তবে প্রত্যেক বছর কোরবানি ঈদের সময়ে এসব কাঠের আলাদা কদর দেখা যায়। কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য সাধারণ মানুষ এসব খাটিয়া ক্রয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
খাটিয়া তৈরিতে তেঁতুল গাছের কাঠকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ অন্য কাঠের তুলনায় এ কাঠের দা-ছুরির আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা অনেক বেশি।
ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত খাটিয়া ব্যবসায়ীরা। শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন তারা। থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন এসব কাঠের খাটিয়া।
 বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই)  আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে পশুর মাংস কাটার খাটিয়া বিক্রির এমন দৃশ্য নজরে পড়ে।
খাটিয়াগুলো একটির ওপর আরেকটি রাখা। ক্রেতাকে দেখাতে অনেক সময় খাটিয়াগুলো এলোমেলো হয়ে যায়। পর মুহূর্তেই সেগুলো আবার গুছিয়ে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন খাটিয়া বিক্রেতারা।
কাঠের তৈরি খাটিয়াগুলো থরে থরে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতা সাধারণের দৃষ্টি কাড়তে একটু পরপরই সেগুলো ঠিকঠাক করেন দোকানিরা।
তবে আগের মত বেচাবিক্রি নেই। সবকিছুতেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। সবকিছু সহজে করতে চায় মানুষ। আগে সারা বছরই কমবেশি এসব খাটিয়া বিক্রি হতো। এখন শুধু কোরবানির ঈদ এলেই বিক্রিটা বেড়ে যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সড়াবাড়িয়া বাজারের খাটিয়া ব্যবসায়ী আলম জানান, প্রতি বছর এ ব্যবসা করে আসি। কিন্তু আগের মত খাটিয়ার ব্যবসা নেই।
 তবে প্রত্যেক কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এ ব্যবসায় নামি। খাটিয়া বিক্রি করতে শহরে আসেন। তবে ছোট বড় মাঝারি খাটিয়া বিক্রয় করে থাকি। ছোট আকারের  খাটিয়া ১৫০ টাকা, মাজারি আকারের খাটিয়া ২৫০ টাকা, বড় আকারের ৩০০-৪০০ টাকা করে বিক্রি করে থাকি।
কবে খাটিয়া ব্যবসায়িদের সাথে আরো জানান, কাঠের মধ্যে তেঁতুল গাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত। প্রত্যেক বছর এ সময়ে বিভিন্ন ‘ছ’ মিল ও মহাজনের কাছ থেকে কাজে লাগে না -এমন সাইজের ছোট ছোট কাঠের গুড়ি ক্রয় করেন। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট  মাপে কেটে খাটিয়া তৈরি করেন।   খাটিয়ার ‍ওপরের ও নিচের অংশ সুন্দরভাবে কেটে সমতল করেন।
এসব ব্যবসায়ী জানান, অন্য গাছের খাটিয়া দা বা ছুরির আঘাত তেমন একটা সহ্য করতে পারে না।   এতে কাঠ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরো ওঠে মাংসে আটকে যায়। যা পরে মাংস থেকে ছাড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়।
কিন্তু তেঁতুল গাছের কাঠ শক্ত ও মজবুত হওয়ায় সাধারণত এমনটি খুব কম হয়। প্রতি পিস কাঠের তৈরি এসব খাটিয়া ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয় বলে যোগ করেন  ব্যবসায়ীরা।
নুর, রাজু, আব্দুল কবির, মিনারুল ও রাজ্জাক সহ একাধিক ক্রেতা জানান, ঈদের নামাজ পড়ে এসে পশু কোরবানি দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়। তখন জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি করা বা অন্যের কাছ থেকে নেওয়া অনেকটা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়ায়। তাই মাংস কাটার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস খাটিয়া ক্রয় করেন কর হয়। 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।