অভিনব কায়দায় ফাঁদে ফেলে একাধিক কিশোরীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে অপু পারভেজ (২২) নামের এক যুবকের বিরূদ্ধে। অভিযুক্ত পারভেজ পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ডের কুমরাডাঙ্গা মহল্লার রবিউল ইসলামের ছেলে। পারভেজ ৪ টি কিশোরীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এক বছরের ব্যবধানে পারভেজ দুইটি স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় নাটোর জেলার এক স্কুল ছাত্রীর কাছে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ও বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়ী থেকে পালিয়ে তাকে বিয়ে করে। প্রতারক পারভেজ ৭ বছরের কন্য সন্তান রেখে আবারও আরেক স্কুল ছাত্রীকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ফোন আলাপ করে। আলাপের এক পর্যায় বিয়ের প্রস্তাব দিলে স্কুল ছাত্রী রাজী না হলে তাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে। সে ভাঙ্গুড়া বিজ্ঞান স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ নিয়ে পারভেজের ৪ নং স্ত্রী স্কুল ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০২/২০২২।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বরে ঐ স্কুল ছাত্রী ফরিদপুর উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ি ইউনিয়নের এরশাদনগর বাজারে যাবার পথে অপু পারভেজ তাকে অপহরণ করে গাইবান্ধা জেলায় আত্বগোপন করে। সেখানে স্কুল ছাত্রীকে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করে। ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ফরিদপুর থানায় একটি জিডি করেন। পরে পাবনা র্যাব-১২ ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে ও পারভেজকে আটক করে ফরিদপুর থানায় হস্তান্তর করেন। পরে ৭ জানুয়ারি ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ফরিদপুর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯ (১) ধারায় মামলা করেন। সকালে পাবনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের মোঃ আশরাফুল ইসলামের কাছে ভিকটিম মোছাঃ নুসরাত জাহানের ২২ ধারা মোতাবেক জবান বন্দি শেষে বাবার কাছে হস্তান্তর করেন এবং অভিযুক্ত পারভেজকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে পারভেজের বাবা ভুয়া জন্মনিবন্ধন বানিয়ে গাইবান্ধা জেলার এক কাজির সহযোগিতায় একটি বিবাহ রেজিস্ট্রি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পারভেজ বলেন, সামর্থ্য থাকলে মানুষ একাধিক বিয়ে করতেই পারে। আর আমি কাউকে তুলে নিয়ে বিয়ে করিনি। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছি। আমার শ্বশুড়কে আমি অনেক টাকা দিয়েছি আবার আমার কাছে সাত লক্ষ্য টাকা চেয়েছে আমি দিতে অস্বীকার করেছি তাই আমার নামে মামলা করেছে।
#CBALO / আপন ইসলাম