শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

যে সব পশু দ্বারা কোরবানী জায়েজ – মাওলানা:শামীম আহমেদ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ : ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ বা বৈধ। এসব পশু ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তা হলো উট, গরু, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া ও মহিষ। (হেদায়া : ৪/৪৪৮)

পশুর বয়স : দুম্বা, ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হলে এদের দ্বারা কোরবানি করা বৈধ। অবশ্য ছয় মাসের ভেড়া ও দুম্বা মোটাতাজা হলে এবং এক বছর বয়সের মতো দেখা গেলে তা দিয়েও কোরবানি করা জায়েজ। গরু ও মহিষ পূর্ণ দুই বছর বয়সী হতে হবে। দুই বছরের কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। উট পাঁচ বছর বয়সের হতে হবে। এর কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৪৯)

কোরবানির পশু যেমন হওয়া উত্তম : কোরবানির পশু হবে ত্রুটিমুক্ত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মধ্যবয়সী ও দৃষ্টিনন্দন। পবিত্র কোরআনে যেমনটি ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসা বলল, আল্লাহ বলছেন, তা এমন গরু যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়—মধ্যবয়সী। সুতরাং তোমরা যা আদিষ্ট হয়েছ তা বাস্তবায়ন করো।…আল্লাহ বলছেন তা হলুদ বর্ণের গরু, তার রং উজ্জ্বল গাঢ়, যা দর্শকদের আনন্দ দেয়।…মুসা বলল, তিনি বলছেন, তা এমন এক গরু, যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানিসেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি—সুস্থ, নিখুঁত।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬৮-৭১)

উল্লিখিত আয়াতের আলোকে ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন, কোরবানির পশু নিখুঁত, দৃষ্টিনন্দন, সুস্বাস্থ্যের অধিকার ও মধ্যবয়সী হওয়া উত্তম। দৃষ্টিনন্দন যেকোনো রঙের পশু যেমন কোরবানি করা যাবে, তেমনি চাষাবাদে ব্যবহৃত হওয়ার পরও যদি পশু ত্রুটিমুক্ত থাকে তাহলে তা দিয়েও কোরবানি করা যাবে।

কতজন শরিক হতে পারবে : গরু, মহিষ ও উট—এই তিন ধরনের পশুর একেকটিতে সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি পর্যন্ত শরিক হয়ে কোরবানি করতে পারবে। তবে কোরবানির জন্য শর্ত হলো, কারো অংশ যেন এক-সপ্তমাংশের চেয়ে কম না হয়। প্রত্যেক শরিককেই কোরবানি অথবা আকিকার মতো কোনো ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিয়ত করতে হবে। যদি শরিকদের একজনও গোশত খাওয়ার নিয়ত করে তাহলে কারো নিয়ত দুরস্ত হবে না। অনুরূপভাবে যদি কোনো শরিকের অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হয় তাহলে সবার কোরবানিই নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/৩০৪)

যদি গরু কেনার আগে অংশীদাররা সবাই মিলে কেনে তাহলে তা জায়েজ। আর যদি কেউ একা কোরবানি করার জন্য একটা গরু কেনে এবং মনে মনে ইচ্ছা রাখে পরে আরো লোককে অংশীদার করবে, তা-ও জায়েজ আছে। তবে যদি ব্যক্তি এমন হয়, যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয় এবং তিনি কেনার সময়ও অন্যদের শরিক করার নিয়ত করেননি তাহলে অন্য কাউকে নতুন করে অংশীদার করতে পারবেন না। এককভাবে কোরবানি করতে হবে। আর ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব হলে অন্যদের শরিক করতে পারবে। তবে এমনটি করা অনুচিত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ৫/৩০৪)

যেসব ত্রুটির কারণে কোরবানি জায়েজ হয় না : ফকিহ আলেমরা বলেন, কোরবানি জায়েজ হওয়ার জন্য মৌলিকভাবে পশু চারটি মারাত্মক ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে। তা হলো—ক. গুরুতর অন্ধত্ব, খ. গুরুতর অসুস্থতা, গ. খোঁড়া হওয়া, ঘ. গুরুতর স্বাস্থ্যহানি ও অঙ্গহানি ঘটা। (আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু, কোরবানি অধ্যায়, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।