বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাবনা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ৪ মামলা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২
প্রতারণা ও অর্থআত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএর সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের নামে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত রোববার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বাদী হয়ে এই ৪টি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০১, ০৮,১৭ ও ১৮)। দুদকের সহকারী পরিচালক ও বাদী এই মামলা তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।
১ নং মামলার আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার তেঘরি কাটারবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. আকবর আলী (ছদ্ম নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম)।
দুদক সুত্র জানায়, মো. আকবর আলী ১৯৮৩ সালে মো. জাহাঙ্গীর আলম নাম ধারণ করে তৎকালীন বিডিআর এর সিপাহী পদে চাকুরি নেয়। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের কোনাগাতি গ্রামে। ১৯৮৩ সালে দু‘জন বিডিআর এর সিপাহী পদে চাকুরির জন্য লাইনে দাড়ান।
জাহাঙ্গীর আলম টিকলেও আকবর আলী অকৃতকার্য হন। পরে জাহাঙ্গীর আলম চাকুরিতে যোগ না দিলে আকবর আলী তার নাম ব্যবহার করে চাকুরি নেন।
৮ নং মামলার আসামীরা হলেন, পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও একই অফিসের অফিস সহায়ক বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া গ্রামের মৃত নঈমুদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম।
তারা দু‘জন বেড়া উপজেলার পৌর ভুৃমি অফিসে কর্মকালীন সময়ে যোগসাজশ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভুমি উন্নয়ন করের যথাক্রমে ৫৯ হাজার টাকা ও ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
১৭ নং মামলার আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোছা. ফিরোজা খাতুন।
তিনি ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরি গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ সরকারের ১৪ লক্ষ ৯৬৫০ টাকা উত্তোলন করে আত্নসাত করেন।
১৮ নং মামলার আসামী হলেন, পটুয়াখালী বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জলিল মিয়া। সে পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের মৃত আছাব আলী সরকারের ছেলে।
দুদক জানায়, ১১ জুলাই ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বাইরের ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকা তিনি অসদ উপায়ে তিনি অর্জন করেন।
মামলার বাদী পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, মামলা গুলি দুদক নিজেই তদন্ত করবে। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এ সব মামলার প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মেলায় দুদক মামলা করেছে।
৮ মামলার অভিযুক্ত পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়ারা ইউনিয়নের সহকারী ভুমি উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, মামলার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। এর আগে দুদক ডেকেছিল আমরা আমাদের বক্তব্য তাদের বলেছি। আমাদের কোন দোষ নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা হবে। 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।