বুধবার , ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় ‘ইউএনওর নির্দেশে’ সরকারি জলাশয়ের মাটি বিক্রি করছেন মেম্বার!

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি জলাশয় থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খানের মৌখিক নির্দেশেই এই মাটি কাটা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

উপজেলার হাটগ্রাম মৌজায় থাকা প্রায় ছয় একর আয়তনের ওই জলাশয়ের নাম চন্ডীদুয়ার। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আতিক খান দুই বছর আগে এই জলাশয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ছয় বছরের জন্য ইজারা নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চন্ডীদুয়ার জলাশয়টি ছয় বছরের জন্য স্থানীয় হাটগ্রাম মৎস্য সমবায় সমিতির কাছে ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এর আগে ওই জলাশয় সংস্কারের জন্য বিশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ। সংস্কারের মাত্র তিন বছরের মাথায় ওই সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য অবৈধভাবে জলাশয়ের পানি শুকিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। প্রতি ট্রলি মাটি ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ছয় একর আয়তনের জলাশয়ের মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে এক অংশ শুকিয়ে ফেলা হয়েছে। শুকনো অংশ থেকে এক্সকেভেটর দিয়ে এলোমেলোভাবে কাটা হচ্ছে মাটি। সেই মাটি পরিবহনের কাজ করছে ১০-১২টি স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি গাড়ি। গ্রামে গ্রামে সেই মাটি বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৫৫০ টাকায়।

প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন আতিক মেম্বরের নিয়োজিত লোক হেলাল খান। এ সময় তিনি এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার না করতে ঘুস দেওয়ার চেষ্টা করেন।

জলাশয় থেকে কাটা মাটি কিনেছেন এমন একজন হাটগ্রামের ফিরোজ আলী। তিনি বলেন, বাড়ির সামনের খাল ভরাটের জন্য আতিক মেম্বরের দায়িত্ব দেওয়া লোক হেলালের কাছ থেকে প্রতি গাড়ি মাটি ৫৫০ টাকা করে কেনা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হাটগ্রাম মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আতিক খান জলাশয়ের মাটি কেটে বিক্রির জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন। মাত্র তিন বছর আগে ওই জলাশয় সংস্কার করায় মৎস্য অফিস তার আবেদন ফিরিয়ে দেন। এরপর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে মাটি কেটে বিক্রি শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি কয়েক লাখ টাকার মাটি কেটে নিয়েছেন। এছাড়া এলোমেলোভাবে মাটি কাটায় ওই জলাশয় মাছ চাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

আতিক খান জানান, মঙ্গলবার নিজেই ইউএনও নাহিদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখান থেকে তিনি মাটি কাটার মৌখিক অনুমতি নিয়ে আসেন।

জেলা পরিষদ সদস্য গুলশান আরা পারভীন লিপি বলেন, মাত্র তিন বছর আগে ওই জলাশয় বিশ লাখ টাকায় সংস্কার করা হয়েছে। এত দ্রুত কিভাবে সংস্কার প্রয়োজন হয় বুঝতে পারছি না।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে জলাশয় খননের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে উপজেলা সরকারি জলাশয়ে সরকারি অনুমোদন ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে মাটি খননের কোনো সুযোগ নেই।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, জলাশয়টি ভরাট হয়ে গিয়েছিল তাই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে মাটি কাটার জন্য নয়; জলাশয় সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।

জলাশয় ভরাট হয়েছে কিনা এটা জানার জন্য কোনো যাচাই-বাছাই করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, এখন মাটি কাটতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।