মঙ্গলবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঘাস খাওয়ার অভিযোগে খোয়ারে বন্দি ৮ গরুর ৩২শ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

কালের বিবর্তনে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে গরু ছাগলের খোয়ার। তবে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নে এখনো প্রচলন আছে খোয়ারের। যুগের পরিবর্তনে বেড়েছে খোয়ারে বন্দি গবাদি পশুর খাজনাও তার মধ্যে হাস ২০ টাকা, ছাগল ৫০ টাকা, গরু ১০০ টাকা, মহিষ ২০০ টাকা। গত কাল রবিবার বিকেলে দিঘুরিয়া গ্রামের জসম সরদারের ছেলে জামাল, তজির সরদারের ছেলে আলামিন, শুকুর আলী সরদারের ছেলে ইয়াকুব ও ওয়াদুদ এর ৮টি গরু ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে ছেড়ে দিলে বারুহাস গ্রামের নুরুল কাজীর ছেলে রফিক কাজী তার জমিতে চাষ করা ঘাস খাওয়ার কারণে বারুহাস গ্রামের ওমর আলীর ছেলে খোয়ার ইজারাদার আবু সাইদ এর খোয়ারে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে গরুর মালিকেরা খোয়ারে দেওয়ার বিষয় জানতে পেড়ে, খোয়ার মালিক আবু সাইদের কাছে গেলে তিনি গরু প্রতি ৫ শত টাকা দাবী করেন। পরে গরুর মালিক বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন কে জানালে তিনি কিছু টাকা কম নেওয়ার সুপারিশ করলে গরু প্রতি ১ শত টাকা কমিয়ে ৪শ করে মোট ৩২শ টাকা আদায় করেন।

এবিষয়ে গরুর মালিকেরা খোয়ার মালিকের ইজরা বাতিলের দাবী জানিয়ে বলেন, আমাদের কাছে খোয়ার মালিক সাইদ সরকারের দেওয়া চার্ট অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করেছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

বারুহাস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগ এর সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন জানান, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালিন খোয়ারের ইজারা দেওয়া হত তাতে প্রতিবছর ডাকের (নিলাম) মাধ্যমে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হত এবং ইজারাদার বা খোয়ার মালিক কে একটি নিদ্রিষ্ট চার্ট দেওয়া হত এবং ঐ চার্ট মোতাবেক খাজনা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হত। যার পরিমাণ ছিল গরু ১০০ টাকা, ছাগল ৫০ টাকা, মহিষ ২০০ টাকা। তবে খোয়ার মালিক সাইদ যে খাজনা আদায় করেছে তা নিয়ম বর্হিভূত।

ঘটনার সত্যতা জানতে খোয়ার মালিক আবু সাইদ এর সাথে মুঠোফোনে (০১৭২৩৪২৫৫৭১) কথা হলে তিনি জানান, এবছর তিনি ৬ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন তবে বর্তমান চেয়ারম্যান তাকে কোনো নিদ্রিষ্ট চার্ট না দেওয়ায় তিনি অতিরিক্ত খাজনা আদায় করেছেন।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান ময়নুল হোসেন বলেন, আমি অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে অবগত না। আর সরকারি চার্টের বাইরে খাজনা আদায় নিয়মবর্হিভূত। তিনি অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম এর মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।