রবিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

লামায় প্রতারণা করে বিধবা নারীর জমি ও এতিমের টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১১ জুন, ২০২২
বান্দরবানের লামার ২নং লামা সদর ইউনিয়নের মেউলারচর নকশাঝিরি এলাকার বাসিন্দা মৃত দুদু মিয়ার মেয়ে ছালেহা বেগম(৬০), ১৯৮০ সাল থেকে দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া মালীকাধীন বসত বাড়ি-নাল জমি-পাহাড়ি ফলজ ও বনজ গাছের বাগানসহ ০৩ একর জমি ভোগ দখল করে আসছেন। বিগত দুই বছর ধরে এই জায়গার উপর নজর পড়ে একই এলাকার বাসিন্দা মো: মুর্শেদ এর তিনি ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে জায়গা গুলো আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
ছালেহা বেগমের টাকার প্রয়োজনে বিগত দুই বছর আগে তিনি মো: মুর্শেদ এর কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে জায়গা-জমি গুলো বন্ধক রাখেন। বিগত ১ বছর আগে বন্ধকী ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন। এছাড়া সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগীর এতিম নাতির ফিতরার ৫০ হাজার টাকাসহ পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য মোট ১লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মো: মোর্শেদ এর কাছে জমা রাখেন। কিন্তু এক সময় ছালেহা বেগম বুঝতে পারেন তিনি সরল বিশ্বাসে টাকা জমা রেখে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত মো: মুর্শেদ টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো একটি ভুয়া জমি বন্ধকী কাগজ তৈরি করে সালেহা বেগম ও তার ভাই সিরাজ মিয়া(৪৫) কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে বলে টাকা দাবী করেন। তাদের মালীকাধীন ০৩ একর জমি গুলো জবর-দখল করে অন্য একজন চাষী বজলু রহমানের কাছে বন্ধক দেন অভিযুক্ত মো: মুর্শেদ।
সরেজমিনে জানা যায়, সালেহা বেগমের মালীকানাধীন পাহাড় থেকে অনুমতি না নিয়ে বিগত ছয় মাস আগে একশটি ফলজ গাছ ও সেগুন গাছ কটে বিক্রি করে দেন।
ভুক্তভোগী সালেহা বেগম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে টাকা দাবী করে ষড়যন্ত্র মূলক একটি প্রতারণার মিথ্যা মামলা দেন মুর্শেদ। বিভিন্ন সময় থানার ওসি পরিচয় দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নাম্বার থেকে কল দিয়ে ভয়ভীতি,চাঁদা দাবী করে হয়রানী করছে এবং ভুক্তভোগী মালীকাধীন জায়গায় তিনি গেলে হাত পা ভেঙ্গে দিবে ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধা নারী সালেহা বেগম।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ,সালেহা বেগমের পুরনো বসত বাড়ি চিহ্ন পাওয়া যায়। এছাড়া পাহাড় থেকে কেটে নেওয়া গাছের চিহ্ন পাওয়া যায়।স্থানীয়রা জানান,সালেহা বেগম ও তার পরিবারটি দীর্ঘ দিন ধরে বসত করে আসছিলেন হঠাৎ দুই বছর ধরে স্থানীয় মুর্শেদ নামের এক ব্যাক্তি জায়গা-জমি গুলো ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান,গত ছয় মাস আগে মুর্শেদ এর নির্দেশে সালেহা বেগমের মালীকাধীন পাহাড় থেকে তিনি সহ আরো কয়েকজন লোক মিলে ৬০ টি বড় সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত নুরু মিয়ার পুত্র মুর্শেদ থেকে বন্ধক নেওয়া স্থানীয় বজলু রহমান জানান,তিনি দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে মো: মুর্শেদ থেকে ০৩ একর জমি বন্ধক হিসেবে নিয়েছেন কিন্তু তাকে দুই একর বুঝিয়ে দেন মুর্শেদ এবং সালেহা মালীকাধীন জমিতে চাষ করে আসছেন কিছু দিন ধরে।
অভিযুক্ত মো: মুর্শেদের কাছে মুটোফোনে অভিযোগের  বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন রকম কাগজপত্র নেই,বিচারে যা হয় হবে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো: খোরশেদ আলম জানান, অভিযুক্ত মো: মুর্শেদের কাজগপত্র গুলো আমাদের কাছে নিয়ে আসলে দেখে সঠিক বলে মনে হয়নি।
লামা ২নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু উভয় পক্ষের অসম্মতি কারণে সমাধান করা যায়নি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, কেউ যদি লামা থানার ভুয়া পরিচয় ব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদা দাবী করে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

#CBALO / আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।