তুহিন ও রিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি তুহিন একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। এক সময় তুহিন ও রিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই অভাব-অনাটনে তুহিন ও রিয়ার বনিবনা না হওয়ায় সোমবার (৬জুন) বিকালে স্বামীর বাড়ীতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে রিয়া। এমনটাই দাবি করেছেন তুহিনের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামে। তুহিন খানমরিচ গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ও রিয়া একই গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই রিয়া ও তুহিনের বিভিন্ন বিষয়ে মত পার্থক্যের শুরু হয়। রিয়ার মা ঢাকা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। তাই রিয়া তুহিনকে নিয়ে ঢাকায় মায়ের পোশাক কারখানায় কাজ করতে চাচ্ছিল। রিয়ার পরিবারও এ বিষয়ে সমর্থন জানায়। তবে তুহিন ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে যেতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে রিয়া ও তুহিনের মধ্যে ঝড়গাঝাটি চলে আসছিল। সোমবার বিকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
#CBALO/আপন ইসলাম