মঙ্গলবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তাড়াশ উপজেলায় জম জমাট ভাবে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী নওগাঁর নৌকার হাট

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৪ জুন, ২০২২
তাড়াশ উপজেলায় গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে নদ-নদী খাল বিলে বর্ষার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরি বিক্রির ধুম পড়েছে। একে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকা তৈরির কারিগররা। নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজও চলছে।
সম্প্রতি কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে উপজেলার বিভিন্ন মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা মাছ ধরায় মেতে উঠেছেন। এসব কারণে কদর বেড়ে যাওয়ায় জমে উঠেছে নৌকা বিক্রির হাটগুলো। বিশেষ করে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁর হাটে বৃহস্পতিবারে বিক্রি হচ্ছে শত শত নৌকা।
নৌকা ক্রয়ে একদিকে সুফল পাচ্ছেন এলাকার পানিবন্দি মানুষ। অপর দিকে নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক কাঠমিস্ত্রি। যেসব মিস্ত্রীরা শুষ্ক মৌসুমে কাজের অভাবে মানবতার জীবন যাপন করেছেন তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকা তৈরিতে।
নওগাঁর  হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসা তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের মোঃ নাঈম হোসেন ও আলহাজ সহ অনেকে বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। বর্ষায় আমাদের মাঠ ডুবে যাওয়ায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নৌকা বিক্রির পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। শুধু নওগাঁ নয় রাণীনগর, নাটোরের সিংড়া এবং বিভিন্ন এলাকার লোকজনও আমাদের নৌকা ক্রয় করতে আসেন।
তারা জানান, বর্তমানে কাঠ-বাঁশের দাম বেশি এবং মিস্ত্রী মজুরি বেশি হওয়ায় খুব বেশি লাভ না হলেও যা হয়, তা দিয়ে কোনো রকম সংসারের চলে যায়।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালী  গ্রামের আতাউর মিস্ত্রি বলেন, বর্ষার পানি নদ-নদী ও খাল-বিলে প্রবেশ করার পর আমাদের এলাকায় নতুন নৌকা তৈরি ও পুরাতন নৌকা মেরামতের ধুম পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজ চলছে।
উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের নৌকা তৈরির কারিগর হবিবর, মুছা,ও আলম বলেন, ১২-১৫ হাত নৌকা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ১০-১২ হাত নৌকা তৈরি করতে খরচ হয় সাড়ে ২৫ শো থেকে ৩ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় ৩ হাজার টাকা থেকে-৩৫ শো টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কাঠের প্রকার ভেদে নৌকার দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।
তারা আরও বলেন, ধান কাটার ধুমে হাটে-বাজারে নৌকার ক্রেতারা কম আসে। তাই নৌকা কেনা-বেচা আর আগের মতো হয় না। তাই আমাদের বাপ-দাদার আমলের ব্যবসা কোনো রকমে ধরে রেখেছি। বর্ষার পানি বাড়তে থাকলে নৌকার বেঁচা-কেনা বেশি হয়। 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।