বুধবার , ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

প্রেমিককে কাছে না পাওয়ার হতাশায় গলায় রশি বিদিশার

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২

ভালোবাসার মানুষকে আঁকড়ে জীবনটা কাটাতে চেয়েছিলেন। বাস্তবে সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। না-পাওয়ার যন্ত্রণায় শেষ পর্যন্ত রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন টালিউড মডেল বিদিশা দে মজুমদার। এর কিছু দিন আগে নবীন অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) রাতে অভিনেত্রী ও মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় হলেও তিনি কলকাতার দমদম এলাকায় একটি ফ্লাট ভাড়া করে থাকতেন। পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন তার এক বান্ধবীও। বিদিশা (২১) অভিনয়ের পাশাপাশি চার বছর ধরে মডেল হিসেবে কাজ করছিলেন বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে।

পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বিদিশা। তার মৃত্যুর পর স্বজনরা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার জন্য অনুভব বেরাকে দায়ী করছে। মেদিনীপুরের শরীরচর্চার ওই প্রশিক্ষককেই নাকি ভালোবাসতেন মডেল বিদিশা।

তার সঙ্গে থাকতে চেয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়াও করতেন টালিউডের ওই মডেল। রাগের মাথায় নৈহাটির বাড়ি ছেড়েছিলেন মাঝরাতে। তখন থেকেই কলকাতায় থাকতেন এই তরুণী।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে দুই বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন। এরপর নাগেরবাজারের রামগড় কলোনিতে ভাড়া বাড়িতে।

ত করেও নাকি কোনও দিনই শরীরচচ্চার শিক্ষক অনুভবের মন পাননি বিদিশা। পুরোটাই ছিল তার একতরফা প্রেম। এটা তার বন্ধুরা বুঝতেন। বিদিশা নাকি সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতেন, প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যাবেন না তো!

মৃত মডেলের বন্ধুর দাবি, মৃত্যুর কয়েক দিন আগেও ফোনে ভেঙে পড়েছিলেন বিদিশা। বলেছিলেন,‘ও শেষ পর্যন্ত আমার হবে তো? ওকে আমি আমার করে পাব তো?’

এই ঘটনা এক দিনের নয়, শেষের দিকে প্রায়ই নাকি ফোনে বন্ধুদের কাছে কাঁদতেন। তারা বোঝাতেন তাকে। সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার পরামর্শও দিতেন। কারণ, বন্ধুদের দাবি— অনুভব নাকি আরও নারীসঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। এ কথা বিদিশাও জানতেন। তবু তিনি আকর্ষণ এড়াতে পারতেন না।

পল্লবী দে আর বিদিশা দে মজুমদার দুজনেই প্রেমিক অন্তপ্রাণ। দুজনেই গ্ল্যামার দুনিয়ার বাসিন্দা। দুজনেই জন্মসূত্রে উপশহরের মেয়ে। পেশা ও প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিলেন দুজনেই। দুই তরুণীর পরিবার তাদের প্রেমের কথা জানত। পল্লবী-বিদিশা ছিলেন একে অপরের বন্ধুও। দুজনেরই তুমুল ঝগড়া করতেন প্রেমিকের সঙ্গে। আবার সেই প্রেমিক ভালবেসে দু-চারটে ভালো কথা বললেই তারা গলে জেতেন। আর দুজনেই শেষ পর্যন্ত প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অভিমানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পর বেছে নিলেন!

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।