সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিএডিসি উল্লাপাড়া জোন এর আওতায় উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ত্রিমোহনী ব্রীজ থেকে উধুনিয়া ইউনিয়নের আগদিঘল গ্রাম ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ভরাট হয়ে যাওয়ায় খালটি পুনঃখননের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। দুটি ইউনিয়নের এটিই হচ্ছে বড় নদী। বড় নদী খাল পুনঃখননের কাজ শেষ হয়েছে। এ নদীটি কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিয়ে বড় নদী নামের খালটি পুনঃখনন করা হয়েছে।
গত ৭ মার্চ ত্রিমোহনী এলাকায় বড় নদী খালটি পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন ও শুরু করা হয়। বিএডিসি ( সেচ বিভাগ) সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাজুদ আলম , বড় পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর লিটন , উধুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাচ্চু , বিএডিসি উল্লাপাড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে সিডিউল মোতাবেক ৬ (ছয়) ফুট গভীরতায় এবং তলায় ৬৫ (পয়ষ্ট্রি ) ফুট ও উপরে এক শত বিশ ফুট চওড়া করে খালটি পুনঃখনন করা হয়েছে।
বিএডিসি উল্লাপাড়া জোনের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের দুইটি ইউনিয়ন এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি পুনঃখননের ফলে উধুনিয়া , চক পাঙ্গাসী , খাদুলী , আগদিঘলগ্রাম, পাচ দিঘলগ্রাম গারেশ্বর বেলাই, ফাজিলনগর, বিনায়েকপুর , চয়ড়া , দত্তখারুয়া , পংখারুয়া , বাগমারা , পশ্চিম মহেষপুরসহ আরোও অনেক বেশ কয়টি গ্রাম এলাকার কৃষি জমির জলাবদ্ধতা আর হবে না। এলাকার বিভিন্ন মাঠের বন্যার পানি দ্রুত নিস্কাশনে আগাম করে সরিষা ফসলসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা যাবে বলে আসা করেন। কৃষিতে প্রয় দশ হাজার হেক্টর জমিতে উপকার হবে বলে জানান। এছাড়া পুনঃখনন করা খালটি আদর্শ জলাধার হিসেবে বিবেচিত হবে। এলাকার কৃষকের ফসলের আবাদে সেচ সুবিধায় চাহিদার ভিত্তিতে বিএডিসি পানাসি প্রকল্পে এক কিউসেক এলএলপি ও এক দশমিক পাচ কিউসেক সোলার এলএলপি পাম্প বসানোর মাধ্যমে আধুনিক সেচ সুবিধা বাড়ানো যাবে বলে জানান।
#CBALO/আপন ইসলাম