পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক মনজুরুল ইসলামকে হত্যা হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান সবুজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন। এ হত্যার হুমকির একটি অডিও ক্লিপ চলনবিলের আলোর কাছে সংরক্ষিত আছে।
জানা গেছে, জমির ধান ভাগাভাগির জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মাদ্রাসা শিক্ষক মনজুরুল ইসলামকে ফোন কলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেন মনিরুজ্জামান সবুজ।
অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান সবুজ খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামের গোলবার হোসেনের ছেলে এবং একজন সেচ পাম্প (স্কীম) মালিক।
এ বিষয়ে শিক্ষক মনজুরুল ইসলাম বলেন, বোরো চাষি কৃষকের কাছ থেকে গলা কাটা ভাগ নিচ্ছে সেচ পাস্পের মালিকরা। বছরের পর বছর চার ভাগের এক ভাগ ধান নিয়ে যাচ্ছে সেচ পাম্পের মালিকরা। সেচ পাম্পের মালিকরা প্রভাবালী হওয়ায় দিশেহারা সাধারন বোরো চাষি কৃষকেরা এর থেকে উত্তরন জরুরী তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ফেসবুকে “গত (১৪ মে) বোরো চাষি কৃষকের কাছ থেকে গলা কাটা ভাগ নিচ্ছে সেচ পাস্পের মালিকরা” স্ট্যাটাস দিয়ে ছিলাম। এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হয়। পরে প্রশাসনিক ভাবে এলাকায় মাইকিং করে প্রত্যেক সেচ পাম্প (স্কীম) মালিকদের বলে দেন পাঁচ ভাগের ভাগ নেওয়ার জন্য। এত ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরুজ্জামান সবুজ আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে ঘর থেকে বের হলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইয়াকুব আলী জানান, ধান নেওয়ার কোন নিয়ম নেই, বিঘা প্রতি টাকা নিতে হবে, সেচ পাম্প (স্কীম) মালিকরা টাকা নিলে ঠিক মত পানি দেয়না, সেই জন্য মাইকিং করে পাঁচ ভাগের এক ভাগ সেচ পাম্প (স্কীম) মালিকদের দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ধান ভাগাভাগি করা আমাদের কাজ নয়, তবে আইন-শৃক্সখলার অবনতি ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম