রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

হারভেস্টার মেশিন ফুটাচ্ছে কৃষকের মুখে হাসি।

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২
প্রতি-ঘণ্টায়-হারভেস্টার-কাটছে-১-একরের-ধান। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে  প্রায় প্রতি বছর  কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ দাবি করছে, কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিষয় উৎসাহ দিচ্ছে ও সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার  জন্য কৃষকদেরকে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। গত ৪ মে থেকে বানিজ্যিকভাবে ধান কাটা শুরু করেছেন আয়নাল হক ও সাইফুল ইসলাম । গত ১৪ দিনে তিনি প্রায় প্রায় দুই লক্ষ দশ হাজার  টাকা আয় করেছেন।
বাসাইল  কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জন্য কেনা হয়েছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন। তা দিয়ে এরই মধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
বাণিজ্যিকভাবে এই মেশিনের মাধ্যমে ঘণ্টায় এক একর জায়গার ধান কাটার পাশাপাশি মাড়াই-ঝাড়াইয়ের পর বস্তাভর্তি করা হয়। ফলে কৃষকের মজুরী সাশ্রয় হচ্ছে। এখন কৃষক ধান বস্তাবন্দী করে অল্প সময়েই মাঠ থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছে।
কম সময়ে মেশিনে ধান কেটে ও মাড়াই করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর  ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর ছনকা পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ আয়নার হক ও সাইফুল ইসলাম  । তিনি প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে এ যন্ত্র কিনেছেন। নীতিমালা অনুযায়ী ২৮ লাখ টাকা মুল্যের যন্ত্রটির জন্য সরকার ৫০ শতাংশ হারে ১৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।
আয়নার হক ও সাইফুল  নিজেদের জমির ধান কাটার পরে মেশিনটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী।
কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিষয়ে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কৃষকদেরকে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে।
গত ১৫ এপ্রিল কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনটি কিনে ০৪ মে থেকে বাণিজ্যিকভাবে ধান কাটা শুরু করেছেন আয়নাল হক ও সাইফুল ইসলাম । গত ১৪ দিনে প্রায় দুই লক্ষ  ১০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
আয়নার হক ও সাইফুল বিএমএফ টেলিভিশনকে  জানান, বিভিন্ন এলাকায় মেশিন নিয়ে গিয়ে ৫৫ একর জমির ধান কেটেছেন। তার ধান কাটার এ ব্যবসায় মেশিন চালকসহ ৪ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি একর প্রতি ধান কাটার জন্য ৪থেকে হাজার ৬  টাকা করে নেন। এক একর জমির ধান কাটার জন্য প্রায় ১৩ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। যার মূল্য এক হাজার টাকার মতো। তাদের কাছে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।
বাসাইল  উপজেলার কাঞ্চনপুর ছনকা পাড়া  গ্রামের কৃষক মোঃ লোকমান খান জমির ধান মঙ্গলবার  এই মেশিন দিয়ে কাটা হয়। এ ধরনের মেশিন বাসাইলে প্রায় কয়েক বছর ধরে আসায় ধান কাটা দেখার জন্য জমিতে ভিড় করছেন অনেকে।
কৃষক মোঃ শাজাহান মিয়া জানান, এই মেশিন দিয়ে ধান কাটায় তার অন্য সময়ের খরচের চেয়ে অর্ধেক টাকা লেগেছে। ঝাড়াই-মাড়াইয়ের সময় সাশ্রয় হয়েছে
উপজেলা  কৃষি অফিসার  নাজনীন আক্তার বলেন, আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। বাসাইল উপজেলায় বোরো মৌসুমের আবাদের ৩০ থেকে  ৪৫ ভাগ ধান ইতিমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে।
কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কৃষক অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। ধান কাটার সাথে সাথে মাড়াই-ঝাড়াই হয়ে তা বস্তাবন্দি করা যাচ্ছে। এতে কৃষকের ধান কাটা ও মাড়াই খরচের সাশ্রয় হচ্ছে। ধান কাটার সময় কম লাগছে। 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

উপদেষ্ঠা সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল-০১৭১১-৪১৭৮৮০, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

২০২৪ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ