ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল দু:সাহসিকভাবে চুরি হয়েছে। কাজি শফিকুল ইসলাম শফিক এর রাইজিং ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় দফায় চুরি সংঘটিত হয়। সোমবার (১৬ এপ্রিল) মধ্য রাতে (সিসি ফুটেজ টাইম) দোকানের সাটারের তালা ভেঙ্গে গ্যাস ভর্তি ৮ সিলিন্ডার, কম্পিউটার মনিটর, সাউন্ড সিস্টেম, নগদ ৩ হাজার টাকা, মোবাইল রিচার্জ কার্ড, এমবি কার্ড ও মিনিট কার্ড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দোকানের অনুমান ৭৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে মালিক শফিকুল ইসলাম জানান। গত ২ বছরের মধ্যে এই দোকানে চুরির এটি তৃতীয় ঘটনা। বিষয়টি ঝালকাঠি থানার পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং থানার পুলিশ কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে গেছেন। প্রতিষ্ঠানে থাকা সিসি ক্যামেরায় চুরির সম্পূর্ণ ঘটনা ধারণ করা রয়েছে। অনুমান ৩০ বছরের পাতলা গড়নের ভদ্রবেশি এক যুবককে দোকানে ঢুকে মোবাইল ফোনের আলোতে চুরি করতে স্পস্ট দেখা যায়। এক পর্যায় সিসি ক্যামেরা চোরের নজরে আসলে চোরকে ক্যামেরাটি ঘুরিয়ে বন্ধ করতে দেখা যায়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে একই স্থানে গত ১০ মার্চ রিয়াদ ষ্টোরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঝালকাঠিতে ইদানিং চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বরে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগী লোকজন জানান। ঝালকাঠির পল্লী ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেল, মটর সাইকেলও অটোরিকসা চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়। মাস খানেক আগে সদর উপজেলার রমজানকাঠি গ্রামের কারিগরি ও কৃষি কলেজের পাশে মো: সোহরাব হোসেনের একটি অটোরিকসা চুরি হলে তার সংসার অচল হয়ে পড়ে। সোহরাব হোসেন জানান, “আমি মহাবিপদে পড়েছি, পত্রিকায় কিছু লিখেন। আমি কি করে সংসার চালাবো ভাই?”
তবে এই চুরি মূলত নেশাখোরদের কাজ বলে ধারনা করা হয়। জনৈক মাহিদুল ইসলাম রাব্বি জানান, “ তিনটি সাইকেল পর পর চুরি হয়। তার বন্ধুদের মধ্যে সেকান্দার আলীর ১টি, মো: সাব্বির হোসেনের ১টি সোমবার রোনালস রোড থেকে চুরি হয়। সাইকেল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এছাড়াও ঝালকাঠি হাসপাতালে, বিভিন্ন বাসা বাড়িতে মসজিদে মোবাইল ও জুতা চুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় লাইট পোষ্টে লাইট বসাতে দেখা গেছে।এতদিন রাস্তাটি অন্ধকার ছিল।
#CBALO/আপন ইসলাম