মঙ্গলবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সলঙ্গায় বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১১ মে, ২০২২

দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া,শ্রমিক সংকট ও ধান কাটা মাড়াই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার কৃষকেরা । মাঠভরা পাকা ধান পড়ে রয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে এ ধান ঘরে তুলতে পারছে না এলাকার কৃষককুল।তার উপর আবার দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় আতঙ্ক ও চরম উৎকন্ঠতার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে কৃষকদের।

বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির কারণে পাকা ও আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কিছু নিচু এলাকায় পাকা ধান রয়েছে পানির নিচে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মত ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
শেষ পর্যন্ত মাঠের ধান সুষ্ঠভাবে ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েও তাদের মনে এক অজানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও থানার ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক হারে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।

প্রতিটি মাঠে পাকা ধানের সোনালী রঙে রঙ্গিন হয়ে রয়েছে। অন্যান্য বছরে বিভিন্ন অঞ্চলের ধানকাটা শ্রমিক এসে এ ধান কাটতো। ফলে যথাসময়েই কৃষকরা তাদের পাকা ধান গোলায় তুলতে পারতো। এবারে বাইরের শ্রমিক সংখ্যা খুবই কম। ফলে এলাকায় তীব্রতর হয়ে উঠেছে শ্রমিক সংকট। আর এ সুযোগে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের মজুরিও বেড়ে দিয়েছে অনেকগুনে।
থানার আগরপুর গ্রামের কৃষক লেলিন আহমেদ বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন মঙ্গলবার ভোররাতে হঠাৎ করেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস।সকাল ১১ টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পাকা ধানের জমিতে পানি জমে যায়। পানিতে নুয়ে পড়ে পাকা ধান। এখন পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হলেও পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে নুয়ে পড়া ধান কাটতে শ্রমিকেরা আকাশচুম্বী দাম হাঁকছে। আবাদের খরচ তো দুরের কথা, ধান বিক্রি করেও শ্রমিকের টাকা উঠবে না।

আমশড়া গ্রামের কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, একবেলা খাবার দিয়ে কাজের জন্য একজন শ্রমিক মজুরী দাবি করছেন ১০০০ টাকা। এতে প্রতিবিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলতে খরচ হবে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। ফসল কেটে সময়মত ঘরে তোলা না গেলে ফলন বিপর্যয়েরও আশঙ্কা রয়েছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারে প্রতিটি মাঠে ইরি- বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারলে এবং ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা লাভবান হবে।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।