পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাবেক স্ত্রীর ডাকে সাড়া দিতে এসে মো. রাশিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি ও তার সাবেক স্ত্রী কহিনুর খাতুনকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে শালিসের মাধ্যমে দুজনের নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন মর্মে অভিয়োগ উঠেছে খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠুর বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলা খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়রম্যানের ক¶ে এক শালিসের মাধ্যমে এই জরিমানা আদায় করা হয়। রাশিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার দত্তখারুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কহিনুর উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পূর্বরাম নগর গ্রামের বাসিন্দা ও দুই সন্তানের জননী। এর আগে দুপুরের দিকে তাদের দুজনকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, খানমরিচ ইউনিয়নের পূর্বরাম নগর এলাকার বাসিন্দা ও জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা দত্তখারুয়া গ্রামের বাসিন্দা রাশিদুল ইসলামের সাথে। প্রেমের এক পর্য়ায়ে তারা বিবাহ বন্ধানে আবদ্ধ হন এবং বেশ কিছুদিন সংসার করেন। এর পর রাশিদুলের ঘরে আগের স্ত্রী ও সন্তান থাকার কারণে তাদের মধ্যে তেমন বনিবনা হচ্ছিল না। ফলে প্রায়ঢ আড়াই মাস আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর থেকে কহিনুর খাতুন তার পিতার বাড়ি পূর্ব রামনগরেই অবস্থান করছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ বিদ্যমান ছিল। তারই ধারাবাহিকতকায় গত শনিবার দুপরের দিকে রাশিদুল ইসলাম দত্তখারুয়া থেকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পূর্বরামনগর এলাকার পার্শ্ববর্তী শিয়ালবাড়ি এলাকায় আসলে তার সাবেক স্ত্রী কহিনুর খাতুনও সেখানে যায়। তাদের দুজনের কথা বলার এক পর্যায়ে স্থানীয় কতিপয় লোকজন তাদের আটক করে খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠুকে বিষয়টি জানালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে রাশিদুল ইসলাম ও কহিনুর খাতুনকে আটকে রাখার পরামর্শ দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠুর নেতৃত্বে এক শালিসী বৈঠকের নামে রাশিদুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা ও কহিনুর খাতুনের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেন । এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠুসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, দোষ করলে এক জন করেছে তাহলে দুই জনের জরিমানা হয় কিভাবে? অন্য দিকে তারা আরও জানান, সাবেক স্ত্রী ফোনের মধ্যেমে রাশিদুল ইসলামকে ডেকে এনেছেন। এতে তার দোষ কোথায় ?
এ ঘটনার বিষয়ে রাশিদুল ইসলাম জানান, তার সাবেক স্ত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে দেখা করতে এসেছিলেন। এ ব্যপারে কহিনুর খাতুনকে জিজ্ঞাসা করলে চেয়ারম্যানের ভয়ে সাংবাদিকদের নিকট কিছু বলতে রাজি হননি।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, অল্প কিছু জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছি। তবে কত টাকা জরিমানা করেছেন তা তিনি বলতে রাজি হননি।
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মু: ফয়সাল বিন আসহান বলেন, এ ব্যপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
#CBALO/আপন ইসলাম