মঙ্গলবার , ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ায় খেতেই পচে যাচ্ছে ৩ লাখ টাকার তরমুজ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২

তীব্র তাপদাহ ও রমজান মাসে চাহিদা বাড়ায় বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের তরমুজ চাষি শাহাজান আলীর ছেলে ওয়াসিম আলী। উপজেলার একমাত্র তরমুজ চাষি তিনি। তবে ৩লাখ টাকার তরমুজ খেতেই পচে যাচ্ছে।

দেড় থেকে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। ভাইরাস সংক্রমণের ফলে খেতেই তরমুজ গাছের পাতা হলুদ ও সবুজের মিশ্র রঙ ধারণ করে গাছ ও ফল মরে যাচ্ছে। তরমুজ পরিপক্ক হওয়ার আগেই এমন বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তরমুজ চাষি ওয়াসিম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোড়ক রোগে জমিতেই পঁচে ঝলছে গেছে চাষি ওয়াসিম আলীর দেড় থেকে দুই বিঘা জমির তরমুজের গাছ। মরা গাছের সাথে অপরিপক্ক তরমুজও পঁচে আছে সারি সারি। প্রায় পৌঁনে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ছিলেন তিনি। একটা টাকারও তরমুজ বিক্রি করতে পারেন নি চাষি ওয়াসিম।

¶তিগ্রস্থ্য তরমুজ চাষি ওয়াসিম জানান, আমি দেড় থেকে দুই বিঘা জমিতে এ বছর মোড়-১৯ জাতের তরমুজ লাগিয়েছি। এতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিনি লাখ তিনেক টাকা লাভের আশা করেছিলেন। প্রথম দিকে জমিতে তরমুজের গাছও হয়ে ছিল ভাল। কিন্তু ফল আসতে ছিল না। গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের ফল আসতে শুরু করল। তরমুজও পরিপক্ক হতে লাগলো।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই ভাইরাসের আক্রমণ শুরু হয়। কয়েক দিনের মাথায় ¶েতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাতে খেতের সব তরমুজে পঁচন ধরে জমিতে ঝলছে পড়ছে। এখন যে অবস্থা, তাতে এক টাকার ফসলও ঘরে যায়নি। ফলও আসলো কিন্তু টেকানো গেলো না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, উপজেলায় তরমুজ চাষ একদমই নতুন। বছরে হাতে গোনা কৃষকও তরমুজ চাষ করে না। আবার কোনো মৌসুমে দুই একজন চাষি শখের বসে পরী¶ামূলক তরমজু চাষ করে। এ উপজেলা বছরে অল্প সংখ্যক তরমুজ চাষ হওয়ায় তেমনটা লাভবান হতে পারে না চাষিরা। এ জন্য তরমুজ চাষে চাষিদের তেমনটা আগ্রহ নেই। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণ তরমুজ এসে চাহিদা পূরুণ করে আক্রান্ত তরমুজের খেতে সঠিক নিয়মে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে দ্রুত ভাইরাস এ আক্রমণ করে।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

 

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।