পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুকুর খননের ফলে এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ ভাবে মাটি কেটে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। প্রকাশ্যে এসব মাটি বিক্রি করলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দিশাহারা হয়ে উঠেছে ফসলি জমির মালিক ও কৃষকরা। রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া মৌজায় এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। সেখানে কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত (কুত্তাগাড়ি) ট্রলি দিয়ে মাটি বোঝাই করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়। এদিকে সংবাদকর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে ভেকু চালক দৌড়ে পালিয়ে যায়। অপরদিকে অপরিকল্পিত ভাবে মাটি কাটায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিকটবর্তী ফসলি জমি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামে মকবুল হোসেন, ছাইদুল রহমান ও আব্দুল মান্নান পাটুলীপাড়া মৌজায় তাদের প্রায় ৫ বিঘা আবাদি জমিতে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করছেন। তবে, এসব পুকুর খননের কোন অনুমোদনও নেই। পুকুর খননের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর খননকারী মকবুল বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই পুকুর খনন করছি। তবে, ছাইদুল রহমান ও আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ফসলি জমি থেকে অবাধে মাটি কেটে গর্ত করার ফলে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। নইলে মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপাশা হোসাইন বলেন, গতকাল লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
#CBALO/আপন ইসলাম