শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন ইমরান খান?

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

রাজনৈতিক অপরিপক্বতার কাছে হেরেই চলেছেন ইমরান খান। গোটা দলসহ জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি তার রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এটি মোটেও ভালো রাজনীতি নয়।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে এখনো ইমরানের প্রাসঙ্গিকতা থাকার কারণ, তিনি যে শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে তিন-তিনটি বছর ক্ষমতায় ছিলেন, সেই ব্যবস্থা থেকে অহংকারের সঙ্গে বেরিয়ে গেছেন। তবে এটি ক্যাপ্টেনের লড়াকু মনোভাবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি অনেকটা এমন- তিনি ব্যাটিং না পেলে খেলবেন না।

এটি বোধগম্য যে, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খান যেভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, তা গলধকরণ করা তার জন্য কঠিন। এরপরও সরকারে না থাকার অর্থ এই নয় যে, তার সব দায়-দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে। বিরোধী দলের বেঞ্চে বসে হলেও ইমরানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে, অন্তত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত।

নতুন সরকার যখন নিজস্ব আইনি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইবে, তখন ইমরান খানকে নিশ্চিত করতে হবে, যারা তাকে ও তার দলকে নির্বাচিত করেছে তাদের কণ্ঠস্বর যেন জাতীয় পরিষদে প্রতিধ্বনিত এবং স্বার্থ সুরক্ষিত হয়। কিন্তু সেই দায়িত্ব ছাড়ার পথ দেখিয়ে ইমরান তার নির্বাচনী শক্তির বড় ক্ষতিই করেছেন।

জাতীয় পরিষদ থেকে গণপদত্যাগ যে আগাম নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছেন, সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়, আর এতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

এখন শূন্য আসনগুলোতে উপনির্বাচন হলে কী করবে পিটিআই? তারা আবার সেই আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে? আর তাতে যদি জেতেও, কী পরিবর্তন আসবে? আসনগুলোতে জিতে আবার পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ছাড়া আর কী লাভ হবে? স্পষ্টতই, এই সিদ্ধান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি। হ্যাঁ, পিটিআই হয়তো জনসমর্থনের ঢেউয়ে গা ভাসাতে চাইবে, কিন্তু তারা তো রাজপথের পাশাপাশি জাতীয় পরিষদে দাঁড়িয়েও আন্দোলন করতে পারতো। এতে কোনো বাধা ছিল না এবং তাতে দলটি আরও বেশি প্রচারণা পেতো।

গত ১০ এপ্রিলের আগে যা কিছু হয়েছে, এখন সেই ধরনের প্রচেষ্টা আবার করা হলে তা প্রশংসনীয় হবে। অধিবেশন কক্ষ অর্ধেক খালি থাকা নতুন সরকারের জন্যেও শুভ নয়। তাদের যেকোনো আইনি সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বৈধতা হারাবে এবং সেগুলোকে একতরফা এজেন্ডা হিসেবে দেখা হতে পারে। তাই অতীতের মতো এবারও সব দলকে জাতীয় পরিষদে ফিরিয়ে আনার সৎ প্রচেষ্টা থাকতে হবে, যাতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিছুটা স্থিতিশীলতার সঙ্গে চলতে পারে।

(পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের সম্পাদকীয় অবলম্বনে)

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।