মেয়ে জামাতা ও তার সহযোগীদের হামলায় শ্বশুর খুনের ঘটনায় দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে জেলার গৌরনদী মডেল থানায় এ মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার সকালে নিহত হারুন মৃধার (৬০) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের হারুন মৃধার মেয়ে শান্তোপা খানম জানান, গত দুই বছরপূর্বে একই গ্রামের সিকিম আলী বয়াতীর ছেলে মাসুম বয়াতীর (২৮) সাথে সামাজিকভাবে তার বিয়ে হয়। মাসুমের সাথে তার মেঝ ভাবীর পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে তাকে (শান্তোপা) একাধিকবার অমানুষিক নির্যাতন করে তার স্বামী মাসুম বয়াতী। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত একমাস পূর্বে তিনি মাসুমকে ডিভোর্স দিয়েছেন।
শান্তোপা আরও জানান, সোমবার বিকেলে গৌরনদীর হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় তাকে একাকী পেয়ে মাসুম ও তার সহযোগীরা তুলে নেওয়ার জন্য পথরোধ করে টানা হেচরা শুরু করে। একপর্যায়ে তার (শান্তোপা) বাবা হারুন মৃধার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঁধা দেয়ায় মাসুম তাকে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার বাবা হারুন মৃধা মারা যায়।
#চলনবিলের আলো / আপন