সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ভুতগাছা গ্রামে বিভিন্ন জাতের হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন খামার ( হ্যাচারী) গড়ে উঠছে। বেড়েই চলছে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন। এখানকার খামারগুলোয় উৎপাদিত হাঁসের বাচ্চা দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও খামারীরা কিনতে আছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার হাঁসের বাচ্চা বিক্রি হয়। ভুতগাছা হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন ও বিক্রিতে গোটা দেশের মধ্যে সেরা মোকাম বাজার হয়ে উঠেছে। উল্লাপাড়া ভুতগাছা গ্রামটি নগরবাড়ী মহাসড়কের একেবারে পাশেই। গত ক’বছরে গ্রামটিতে বড় ছোটো মিলে প্রায় পচিশটি হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন খামার গড়ে উঠেছে। খামারগুলো হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন হ্যাচারী নামেও পরিচিতি পেয়ে আছে। এখানকার খামার মালিকেরা আগে অন্য পেশায় কাজ কিংবা ব্যবসা করেছেন বলে জানা গেছে। প্রায় আড়াই যুগ আগে আঃ হামিদ মোল্লা (৬৫) নিজ ভুতগাছা গ্রামে প্রথম হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন খামার গড়েন। তিনি সে সময় রিকসা চালাতেন। তার খামারটি এখন সবচেয়ে বড় খামার।এ গ্রামে গড়ে তোলা আরো কটি খামার মালিক হলেন মোতালেব মোল্লা , আনোয়ার হোসেন মোল্লা , হাশেম খান , শুকুর আলী খান , সরোয়ার আলী।প্রতিবেদককে মোল্লা হ্যাচারী মালিক আঃ হামিদ মোল্লা বলেন , তার খামারে এক সাথে প্রায় ষোলো হাজার ডিম বাচ্চা উৎপাদনে বসানো হয়ে থাকে। পাবনা , ফরিদপুর , সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা এলাকাসহ আরো বিভিন্ন এলাকা থেকে হাঁসের ডিম কিনে আনা হয়। তার খামারসহ অন্য খামারগুলোয় উৎপাদিত হাঁসের বাচ্চা পাবনা , যশোর , কুমিল্লা , কক্মবাজার সহ আরোও আঠারো থেকে বিশ জেলার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারী কিনে নিয়ে যান। এসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা হাঁসের বাচ্চা কিনে গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করে থাকেন। এছাড়া খামারী কেনেন। এদিকে বিভিন্ন এলাকার খামারীরা সরাসরি ভুতগাছায় এসে হাঁসের বাচ্চা কিনে নিয়ে যান।
শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা গ্রামের মোঃ সালাহউদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন আগে অন্য পেশায় কাজ করেছেন। নিজ বাড়ীতে হাঁস লালন পালনে খামার ঘর করেছেন। এখান থেকে প্রায় এক হাজার হাঁসের বাচ্চা কিনে নিলেন । তার এলাকায় এমন আরো গোটা তিনেক খামার আছে।
এদিকে ভুতগাছা গ্রামের বিভিন্ন খামিরে সরেজমিনে প্রায় দেড় ঘণ্টা থেকে দেখা গেছে গ্রামীণ বসতি বহু নারীকে এখান থেকে হাঁসের বাচ্চা কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। একাধিক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে এরা বাড়ীতে লালন পালনে বিশ পচিশটি হাঁসের বাচ্চা কিনে নিচ্ছেন। সংসারের বাড়তি আয়ে তারা হাঁসের বাচ্চা লালন পালন করবেন বলে জানান । উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ডাঃ মোঃ মোর্শেদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন খামারীগণ এর জন্য তার বিভাগে আসলে অবশ্যই পরামর্শ দেওয়া হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন